সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার প্রস্তাব রাহুলের, সনিয়া তনয়কে বিরত করলেন নেতারা
নয়াদিল্লিতে সকাল ১১টা থেকে ভরাডুবির পর্যালোচনায় শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠক (ওয়ার্কিং কমিটি)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একটা নির্বাচনী ভরাডুবি। বছরে ৭২,০০০ টাকা মাগনায় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও মোদীকে আটকাতে পারলেন না রাহুল গান্ধী। উত্তরপ্রদেশে নিজের গড়েই স্মৃতি ইরানির কাছে হেরেছেন। একমাত্র মুখরক্ষা করেছে সনিয়ার রায়বরেলি। পরাজয়ের দায় নিয়ে ইতিমধ্যেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। আরও দুজন নেতা পদত্যাগ করার পর চাপ বেড়েছে রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন সনিয়া তনয়। কিন্তু রাহুলকে বিরত করলেন নেতারা।
নয়াদিল্লিতে সকাল ১১টা থেকে ভরাডুবির পর্যালোচনায় শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক। যোগ দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাজ্যসভার দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংরা। নির্বাচনে হার নিয়ে কাঁটাছেড়া চলছে বৈঠকে। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েও কেন নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলল না, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
সূত্রের খবর, সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মুখকে সামনে রেখে ভোটে লড়াই করেছিল শতাব্দী প্রাচীন দল। কিন্তু মোদীর সামনে টিকতেই পারেননি রাহুল গান্ধী। ৩০৩টি আসন নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন নমো। আর মাত্র ৫২টি আসনে থেমে গিয়েছে কংগ্রেস। রাহুল পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশের পর তাঁকে বিরত করেন কংগ্রেস নেতারা। সভাপতি হিসেবে রাহুলকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন তাঁরা।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানে মাসখানেক আগে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরও লোকসভায় কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভোটাররা। এনিয়েও এদিন ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন- বাংলায় সাফল্যের পর মমতাকে 'জয় শ্রী রাম' কুর্তি উপহার পাঠালেন বিজেপি নেতা