নিজস্ব প্রতিবেদন: 'চৌকিদার' শব্দটি নিয়ে লোকসভা ভোটে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে জমে উঠেছিল তরজা। টুইটারে নিজের নামের আগে 'চৌকিদার' বসিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে অনুসরণ করেছিলেন বিজেপির ছোট-বড় নেতা থেকে কর্মীরা। ভোটের ফলে জয় নিশ্চিত হতেই 'চৌকিদার' থেকে আবারও নরেন্দ্র মোদী হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। ছেঁটে দিলেন 'চৌকিদার' শব্দটি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ভারতবাসী চৌকিদার হয়ে উঠেছেন। দেশের জন্য দারুণ কাজ করেছেন তাঁরা। জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী প্রতীক হয়ে উঠেছে চৌকিদার।
         



তিনি আরও লিখেছেন, ''চৌকিদারের কর্মশক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে। ভারতের অগ্রগতির জন্য এই কর্মশক্তিকে প্রতি মুহূর্তে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। 'চৌকিদার' শব্দটি টুইটার থেকে বাদ দিচ্ছি, তবে এটা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। আপনাদের কাছেও সেই আবেদন করছি''।                  


 



২০১৪ সালের ফলকেও ছাপিয়ে দিয়েছে এবারের ফল। তিনশোর বেশি আসন নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছে মোদী সরকার। সে জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ধন্যবাদ ভারত! আমাদের জোটের আপনারা ভরসা রেখেছেন। সাধারণ মানুষের আশাপূরণে আরও পরিশ্রম করার শক্তি দিলেন আপনারা। বিজেপি কর্মীদের দৃঢ়তা, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমকে কুর্নিশ করছি। ঘরে ঘরে গিয়ে উন্নয়নমুখী কাজগুলির প্রচার করেছেন তাঁরা।              



রাফাল দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' খোঁচা দিতে শুরু করেন রাহুল গান্ধী। আর সেই শ্লেষকে হাতিয়ার করে পাল্টা প্রচারে নামে বিজেপি। আর যে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুরু হয়, 'ম্যায় ভি চৌকিদার' প্রচার। তখনই টুইটারে নিজের নামের আগে 'চৌকিদার' শব্দটিও বসান মোদী। তাঁর দেখাদেখি বাকি বিজেপি নেতা-কর্মীরাও রাতারাতি হয়ে ওঠেন 'চৌকিদার'। 


আরও পড়ুন- চার-পাঁচ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেতে চলেছে বাংলা, কারা পাচ্ছেন মন্ত্রিত্ব?