নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাঙ্কের সুদের টাকায় অবসর জীবন! অতীতের সে দিন, আজ মানুষের কানে গল্পের মতো শোনায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এলআইসিতে টাকা জমা রেখে যাঁরা নিশ্চিন্ত ছিলেন, তাঁদেরও এখন শিরদাঁড়া দিয়ে নেমে যাচ্ছে ঠাণ্ডা স্রোত। নানা কারণে ব্যাঙ্ক নিয়েও তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। বাস্তবে কী হচ্ছে? কী হতে যাচ্ছে?


আরও পড়ুন-হনুমান চালিশা বিলি ঘিরে উত্তেজনা, বইমেলায় বন্ধ করে দিতে হল VHP-র স্টল


বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর একটা ছোট্ট ঘোষণা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। কত শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে সরকার, তা জানাননি অর্থমন্ত্রী। কিন্তু আশঙ্কা যাচ্ছে কই! করমুক্ত সঞ্চয়, পরিবারের নিরাপত্তা, সরকারি গ্যারান্টি। এই ছিল এলআইসির ইউএসপি। যে কারণে, বহু চেষ্টা করেও জীবন বিমার বাজারে এলআইসির একচেটিয়া ব্যবসায়ে থাবা বসাতে পারেনি বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলি।


সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, সরকার যদি প্রতি বছর এলআইসির শেয়ার বাজারে ছাড়া শুরু করে তাহলে একদিন এ সংস্থার নিয়ন্ত্রণ বেসরকারি হাতে চলে যাবে। সারাজীবনের যে সঞ্চয়, তার কোনও নিরাপত্তা আর থাকবে না। LIC-র অনুত্‍পাদক সম্পদের পরিমাণ ইতিমধ্যেই বহুদিনের গড় ২% থেকে বেড়ে ৬% হয়েছে।


এনিয়ে চিন্তা ছিলই। বাজেটের পর তা একলাফে বেড়ে গেছে বহুগুণ। শুক্রবারই স্টেট ব্যাঙ্ক সুদের হার আরও একদফা কমিয়েছে। এপ্রিলে পোস্ট অফিসের সুদ ফের কমতে চলেছে। বয়স্ক মানুষদের সুদ-নির্ভর জীবনে বেড়েই চলেছে সঙ্কট। এরওপর  মুদ্রাস্ফীতির অঙ্ক কষলে প্রকৃত সুদ শূন্যের কাছে নেমে আসছে। পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কেলেঙ্কারি, সাধারণ মানুষের মনে ব্যাঙ্ক নিয়ে আশঙ্কা বাড়িয়েছে।


আরও পড়ুন-Operation BABY: অসংখ্য এজেন্টের হাতবদলে ভিনদেশে পাচার হচ্ছে ফুটফুটে শিশু


আমানতে ওপর বিমার পরিমাণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করেছে সরকার। কিন্তু, কারও যদি ব্যাঙ্কে সঞ্চয়, ৫ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে? ভয় যাচ্ছে না। ব্যাঙ্কের  বিশাল অঙ্কের অনাদায়ী ঋণ, লাগাতার ব্যাঙ্ক প্রতারণাও আমজনতার বিশ্বাসে বয়ে আনছে আঘাত।


জিডিপিতে শামুকের গতি। কাজ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জিনিসের দাম বাড়ছে। এ বার যদি, সরকারি ব্যাঙ্ক-বিমার ওপরও আস্থা টলতে থাকে, তাহলে কোন দিকে যাবে দেশের অর্থনীতি? আশঙ্কা আছে, উত্তর নেই।