নিজস্ব প্রতিবেদন— গোটা দেশে অসংখ্য মানুষ ঘরবন্দি। তার মধ্যে এখনও কিছু মানুষ সরকারের নির্দেশ মানছেন না। কারণে—অকারণে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। সেইসব মানুষদের ঘরবন্দি করার জন্য এই দুর্দিনেও পুলিসকে লাঠিচার্জ করতে হচ্ছে। লকডাউন শব্দের অর্থ বোঝাতে হচ্ছে। অনেকে বলছেন, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের পক্ষে ২১ দিনের লকডাউন মেনে চলা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ঘরে প্রচুর পরিমাণ খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত রাখার মতো সামর্থও সবার নেই। কিন্তু সব কথার উর্ধ্বে এখন মানুষের সুরক্ষা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে হলে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। না হলে গোটা দেশের জন্য সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে চিকিত্সকমহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হোম কোয়ারান্টিন ও লকডাউন। গোটা বিশ্ববাসী গত কয়েকদিনে এই দুটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। কিন্তু এই দুটি শব্দের মানে বাস্তবায়িত করা যে কতটা কঠিন তা এখন সবাই বুঝতে পারছেন। তবুও গোটা দেশ একজোট হয়ে ২১ দিন লড়াই করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শৃঙ্খলা ও দায়বদ্ধতাই এই সময় সব থেকে বড় হাতিয়ার। আর সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে লখনৌয়ের এক গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চায়েতপ্রধান মিলে সারা দেশের সামনে উদাহরণ তৈরি করছেন।


আরও পড়ুন—  দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ২২টি বেসরকারি ল্যাবকে নমুনার পরীক্ষার ছাড়পত্র ICMR-এর


গ্রামের প্রতিটি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। বিহরই গ্রামে এখন বাইরের লোকের প্রবেশ নিষেধ। গ্রামের কোনও বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসা চলবে না। প্রতিটি রাস্তা ব্লক করে রাখা হয়েছে গাছগাছালি ও বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে। আর গ্রাম পঞ্চায়েত অলোক ভর্মা দুজন করে কমবয়সী ছেলেকে প্রতি রাস্তার মোড়ে মোতায়েন করেছেন। গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসের খোঁজ নিয়ে আসছে একটি দল। এই দলও পঞ্চায়েত প্রধানের গড়ে দেওয়া। তারাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসছেন। সারা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় কীটনাশক, চন, ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। পুরো কর্মকাণ্ডে গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের সাফ কথা, সরকার যা করছে আমাদের ভালর জন্য। বেঁচে থাকলে আবার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হবে। ঘুরে বেড়াতে পারব। এই কটা দিন তো কঠিন পরীক্ষা! সত্যি। কঠিন পরীক্ষাই বটে আপাতত।