দলিত বিক্ষোভের পর দিন বনধে থমথমে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক শহর
দলিত সংগঠনের ডাকা বনধে প্রাথমিক ভাবে প্রভাব পড়েছে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে। মঙ্গলবার মুম্বইয় শহরের চেম্বুরে পথ ও রেল অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার সেখানে দোকানপাট ছিল বন্ধ। রাস্তায় যানচলাচল না করলেও কিছু মানুষকে চেম্বুর স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত রেল ও বাস পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: দলিত - মারাঠা সংঘর্ষের পর দিন দলিত সংগঠনের ডাকা বনধে থমথমে মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্র। বিশেষ করে মুম্বই, থানে ও পুনেতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার। সকাল থেকে একাধিক জায়গায় রেল ও পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সাবধানী পদক্ষেপ করে বুধবার স্কুল বাস না-চালানোর কথা ঘোষণা করেছে বাসমালিকদের সংগঠন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় থানেতে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার ভীমা - কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের একাধিক শহর। পুনে থেকে সংঘর্ষ ছড়ায় বিভিন্ন জায়গায়। বাদ যায়নি বাণিজ্য নগরী মুম্বইও। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে পুনেতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সরকারের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ করে বুধবার রাজ্যজুড়ে বনধ ডাকেন দলিত আন্দোলনের নেতা প্রকাশ আম্মেদকর।
দলিত সংগঠনের ডাকা বনধে প্রাথমিক ভাবে প্রভাব পড়েছে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে। মঙ্গলবার মুম্বইয় শহরের চেম্বুরে পথ ও রেল অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার সেখানে দোকানপাট ছিল বন্ধ। রাস্তায় যানচলাচল না করলেও কিছু মানুষকে চেম্বুর স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত রেল ও বাস পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন - পাওয়ারগ্রিড বিরোধীদের মিছিলে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ, ফের উত্তপ্ত ভাঙড়
সকালে থানেতে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বনধ সমর্থকরা। ওদিকে উত্তেজনা রুখতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থানেতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
Maharashtra: Protesters halt a train at Thane Railway Station over #BhimaKoregaonViolence pic.twitter.com/BHLsWmfpmk
— ANI (@ANI) January 3, 2018
মুম্বই-সহ বিভিন্ন জায়গায় দলিত বসতিতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস।
ওদিকে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বুধবার স্কুল বাস না-চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুম্বইয়ের বাসমালিকদের সংগঠন। তবে শহরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল খোলা রয়েছে।
বন্ধ রয়েছে মুম্বইয়ের ডাব্বা পরিষেবা। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে মঙ্গলবারের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে একাধিক হিন্দু চরমপন্থী নেতার বিরুদ্ধে।