নিজস্ব প্রতিবেদন : তাঁরা পুলিসকর্মী। আপদকালীন পরিস্থিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁদের পেশা। কিন্তু তাঁদেরও রয়েছে ঘর-বাড়ি, পরিবার। তবুও নিজেদের অসুবিধা উপেক্ষা করেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কর্তব্য়ে অনড় তাঁরা। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে বন্যায় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ২৪০ জন পুলিসকর্মীর। জলের তলায় তাঁদের বাড়ি। তা সত্ত্বেও বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করার কর্তব্যে অনড় তাঁরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



নিজেদের বাড়িই জলের তলায়। আর পাঁচ জনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভুক্তভোগী তাঁরাও। কিন্তু উর্দির মর্যাদা রাখতে মরিয়া পুলিসকর্মীরা। এই সময়ে নিজেদের পরিবারের কোনও মতে একটু ব্যবস্থা করে দিয়েই তাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁদের ডিউটিতে। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। একের পর এক বন্যাগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করতে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। বন্যাদূর্গতদের পৌঁছে দিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ।  সারাদিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে উদ্ধারকার্যে ব্যস্ত তাঁরা। কখনও বোটে, কখনও বা এক মানুষ সমান জলে সাঁতার কেটে দুর্গতদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। 


সাঙ্গলি পুলিসের এসপি সুহেল শর্মা নিজেই জলে নেমে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "প্রতিনিয়ত নিজেদের প্রাণের তোয়াক্কা না করেই বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করছে পুলিস।" তিনি জানান, লাগাতার বৃষ্টির ফলে বন্যায় সাঙ্গলিবাড়ি, হরিপুর, পত্রকারনগর এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দার বাড়ি জলের তলায়। তাদের উদ্ধার করাই পুলিসের একমাত্র লক্ষ্য। 


আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন সাংবাদিক ও তাঁর ভাই


অপরকে সাহায্য করলে তবেই সাহায্য পাওয়া যায়। এমনটাই মনে করছেন উদ্ধারকারী পুলিসকর্মীরা। সাঙ্গলি পুলিসের এক কনস্টেবল বললেন, "আমি এখানে কারও পরিবারকে উদ্ধার করছি, আমারও পরিবারকে সাহায্য করবেন কেউ।"


মহারাষ্ট্র পুলিসের এক কর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৪ জন বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন। শুধুমাত্র সাঙ্গলিতেই মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। তবে বন্যার জল কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তিতে প্রশাসন। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও অনেক দেরি বলে জানান তিনি।