নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি সমর্থন তুলে নেওয়ায় কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতির সরকার ভেঙে যায়। সেখানে নতুন সরকার গড়ার এখনও কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই রাজ্যের রাজনীতিবিদদের ‘বিপজ্জনক’ বলে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-উলটপুরাণ! ওয়েইসির সঙ্গ ছাড়লে চন্দ্রশেখরকে সমর্থন করবে বিজেপি


রবিবার মুখার্জি ভবনে এক সভায় জিতেন্দ্র সিং বলেন, ''কাশ্মীরে তথাকথিত রাজনীতিবিদরা রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের থেকেও বিপজ্জনক। কারণ, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নীতি বোঝা যায়। কিন্তু উপত্যকার রাজনীতিবিদরা কখন কার দিকে ঢলবে, তা বোঝা যায় না। পরিস্থিতি বদলে গেল তারাও বদলে যান।'' অর্থাত্ এককথায় ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিদের দিকেই এদিন বন্দুক তাক করেন জিতেন্দ্র সিং।


কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সিং বলেন, "'কাশ্মীরের নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলার ব্যাপারে ‘সিলেকটিভ’। তারা উপত্যকায় কথায় কথায় নিরাপত্তা বাহিনীর দিতে আঙুল তোলে। কিন্তু সেনা সেখানে কিছু নিয়ম মানতে বাধ্য। কিন্তু যারা ওই অভিযোগ তোলে তারা একজন জঙ্গিকে জঙ্গি কখনও বলে না। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে না।''


আরও পড়ুন-ফের বিজেপির আলোচনার প্রস্তাব ফেরাল রাজ্য, ডিজিকে চিঠি দিয়ে মিলল না সময়


মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র আরও বলেন, ''মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলতে গেল তাতে রাজনীতি মিশেল না দিয়েই তা বলতে হবে। উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কী হবে।''


শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রহস্যজনক মৃত্যু প্রসঙ্গও টেনে আনেন জিতেন্দ্র। বলেন, ''স্বাধীনতার পর শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। ওই মৃত্যু রহস্য উন্মোচনে শ্যামপ্রসাদের মায়ের অনুরোধ সত্ত্বেও তদন্ত করা হয়নি। এর জন্যে কংগ্রেস ও তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুই দায়ী।''