নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নয়া জল্পনা শুরু তেলঙ্গানা রাজনীতিতে। যে বিজেপি ভোটের আগে শাসক দল টিআরএস-র বিরুদ্ধে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করে ময়দানে নেমেছিল, ভোটের পরই ভোল বদল সেই বিজেপির। বুথ ফেরত্ সমীক্ষা হাতে আসতেই চন্দ্রশেখর রাওয়ের হাত ধরতে চাইছে তেলঙ্গানা বিজেপি। তবে, শর্ত একটাই- কংগ্রেস এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে জোট করা যাবে না।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সপাটে চড়, অনুগামীদের পাল্টা মারে হাসপাতালে যুবক
তেলঙ্গানার রাজ্য বিজেপি সভাপতি কে এল লক্ষ্মণ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদি ১১ ডিসেম্বর ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়, টিআরএসকে সমর্থন করবে বিজেপি। তবে, কংগ্রেস এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-র সঙ্গ ছাড়তে হবে তাদের। উল্লেখ্য, টিআরএস এবং ওয়েইসির দল প্রত্যক্ষ জোটে না গিয়েও নির্বাচনী প্রচারে একসঙ্গে লড়তে দেখা গিয়েছে। সংখ্যালঘু ভোট এককাট্টা করতে টিআরএস-র মঞ্চে বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছে এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে। অন্যদিকে কংগ্রেস-সহ চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি, সিপিআই এবং তেলঙ্গানা জন সমিতির জোট লড়ছে এবারের নির্বাচনে।
আরও পড়ুন- ‘আমিই সবচেয়ে বড় সমীক্ষক, ২০০ পার করবে বিজেপি’, জোরাল দাবি শিবরাজের
বুথ ফেরত্ সমীক্ষার অধিকাংশ রিপোর্ট বলছে ফের ক্ষমতায় ফিরছে চন্দ্রশেখর রাও। জয়ের বিষয়ে তিনি বেশ প্রত্যয়ী। বুথ ফেরত্ সমীক্ষার রিপোর্টকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক শিবিরের অনেকেই। দুটি রিপোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ নম্বর মিলেছে টিআরএস। অন্য একটি রিপোর্টে ১১৯টি আসনে টিআরএস পাচ্ছে ৪৮ থেকে ৬০টি আসন। ম্যাজিক ফিগার কোনওভাবে না ছুঁতে পারলে ওয়েইসির হাত ধরতে হবে চন্দ্রশেখরকে। সে দিকে বুথ ফেরত্ সমীক্ষা অনুযায়ী ৭ থেকে ১০টি আসন পেলেই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াবে অমিত শাহের দল। এখন দেখার লোকসভার আগে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন না দিতে কংগ্রেসও কী ভূমিকা নেয়। তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কার হাত ধরবেন চন্দ্রশেখর সে দিকে তাকিয়ে তেলঙ্গানাবাসী। আগামী মঙ্গলবারই বলবে তার উত্তর।
উলটপুরাণ! ওয়েইসির সঙ্গ ছাড়লে চন্দ্রশেখরকে সমর্থন করবে বিজেপি