নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি সফরে সনিয়া-রাহুল গান্ধীর দেখা করে মহাজোট নিয়ে আরও একবার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দশ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন সপুত্র সনিয়া গান্ধী। প্রদেশ নেতৃত্বের আপত্তি থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা এই ত্রয়ীর হাসিমুখের ছবিতেই স্পষ্ট। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে বিজেপিকে ঠেকাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার কথাই বলেছেন মমতা।      



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে। অসমে নাগরিকপঞ্জীর বিষয়েও আলোচনা করেছি।''



মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অসমের নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ''ভোটে জেতার জন্য নাম, পদবী দেখে বাদ দেওয়া হচ্ছে। দেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে অসমের নাগরিকপঞ্জী। দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে''। মমতার এই মন্তব্য নিয়ে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিডেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং। তাঁর কথায়, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত''। মমতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করার দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পাল। বিজেপির আক্রমণের মুখে দমার পাত্রী নন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সাফ কথা, ''আমি বিজেপির পরিচারিকা নই যে ওদের সব মন্তব্যের জবাব দেব। এটা বলতে চাইনি (গৃহযুদ্ধ)। নাগরিকপঞ্জীতে নাম না থাকা ৪০ লক্ষ মানুষকে নিয়েই আমার উদ্বেগ। ২০১৯ সালে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বিজেপি, তাই রাজনৈতিকভাবে চাপে তারা''। 



আরও পড়ুন- অমিতের সভা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ওড়াল পুলিস, হুঙ্কার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির