নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে। তারপর, এই ফেব্রুয়ারিতে। ভুবনেশ্বরে ২৪ তম ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের (Eastern Zonal Council) বৈঠকে ফের মুখোমুখি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে কথা হল। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, দু'দফার বৈঠকে একবারের জন্যও ওঠেনি NRC-CAA প্রসঙ্গ। দিল্লির হিংসা ও দেশজোড়া CAA-NRC বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অমিত শাহের সঙ্গে জোড়া বৈঠকে কেন NRC প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন মমতা? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকাল দশটায় ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবনে শুরু হয় EZC-এর বৈঠক। বিহার, বাংলা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও আসেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। দুদফার বৈঠকে কথা হয় পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সম্পর্ক এবং দাবিদাওয়া নিয়ে। বাংলার বকেয়া টাকা থেকে কয়লার রয়্যালটি প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হন মমতা। বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, লোকসেবা ভবনে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শুরুর আগে দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। দিল্লিতে শান্তি ফেরানোর জন্য শাহের কাছে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, 'পাশে আছি', নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মালদায় ২০০ আদিবাসী মেয়ের বিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী


আরও পড়ুন, আজ মমতার সঙ্গে সাক্ষাত, কলকাতা এসে কালীঘাটে যাবেন অমিত


বৈঠক শেষে নবীন পট্টনায়কের আমন্ত্রণে তাঁর বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন অমিত শাহ, মমতা এবং নীতীশ কুমার। সেখানে তিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকও করেন শাহ। তবে সেখানেও ওঠেনি CAA, NRC প্রসঙ্গ। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগে সরব হয়েছে।