নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে বাদল অধিবেশন চলাকালীন দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবারের দিল্লি সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপির বিরুদ্ধে কৌশল রচনা করতে যেমন বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তেমনই রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে দ্বারস্থ হবেন প্রধানমন্ত্রীর। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও সময় চাওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অধিবেশন চলাকালীন প্রতিবারই সংসদে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবার করোনার কারণে সেই রীতিতে ছেদ পড়লেও, এবার তার অন্যথা হচ্ছে না। সূত্রের খবর, ২৬ জুলাই বিকেলে কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিনের সফর সূচিতে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিজেপি বিরোধিতার নীল নকশা তৈরি করতে সমমনস্ক বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, NCP প্রধান শরদ পাওয়ার এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদনি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। দেখা করতে পারেন, কৃষক নেতাদের সঙ্গেও। 


আরও পড়ুন: সোমবার থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, কেন্দ্রকে বার্তা Derek-র


আরও পড়ুন: বর্ষায় ১ লক্ষ উদ্বাস্তু উচ্ছেদ বন্ধ হোক, ভারতকে আর্জি রাষ্ট্রসংঘের


এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। নবান্ন সূত্রে খবর, সেজন্য ইতিমধ্যে সময় চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিভিন্ন খাতে রাজ্যের বকেয়া টাকা চাইবেন তিনি। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রতিটি বিষয়ে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছে বলে নালিশ করতে পারেন তিনি। এছাড়া চারদিনের দিল্লি সফরে নিয়মমাফিক সংসদে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পুরনো রাজনৈতিক সতীর্থ এবং তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে যোগ দেবেন চা-চক্রে। সফর শেষ করে ৩০ জুলাই বিকেলে কলকাতা ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।