ওয়েব ডেস্ক: কিছু খবর থাকে যেগুলো লিখতে বসলে চোখের জল ভরে আসে, সঙ্গে মনে হয়ে এ কোথায় থাকি আমরা! এই যেমন ওড়িশায় যা ঘটল। এক ভদ্রলোক, কাঁধে একটি মৃতদেহ এবং সঙ্গে ছোট মেয়েকে নিয়ে হেঁটে চলেছেন। কিছুক্ষণ পর জানা যায় ভদ্রলোকের কাঁধের যে দেহ রয়েছে, সেটা তাঁর স্ত্রীর, চাদরে জড়ানো। জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই মহিলার। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনওরকম শবযান বা ওই জাতীয় কোনও যানবাহনই দিতে চাননি স্বামী দানা মাঝিকে। ফলে স্ত্রী-র মৃতদেহকে চাদরে জড়িয়ে, কাঁধে তুলে গ্রামের পথে হাঁটতে শুরু করলেন দানা মাঝি। সঙ্গে ১২ বছরের মেয়ে। হাসপাতাল থেকে তাদের দানা মাঝির গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিমির মত। মৃতদেহ নিয়ে ৬০ কিমি হাঁটবেন বলে চলা শুরু করলেন দানা মাঝি। পথটা অনেকটা! কিন্তু ভালবাসা, জেদের কাছে কী এমন পথ সেটা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- দেশের সব খবর


দানা মাঝির স্ত্রী ৪২ বছরের অমং দেই টিবিতে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। দানা মাঝির অভিযোগ, তিনি তাঁর দুরবস্থার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও, তাঁরা তাঁকে কোনওভাবেই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।


ওড়িশার ভবানীপটনা এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনা থেকে অবাক হয়ে যান। অনেকেই সেই স্বামীর পিছন পিছন হাঁটতে শুরু করেন। দশ কিমি পথ হাঁটার পর সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় দানার। তাঁরাই তাঁকে পরবর্তী ৫০ কিমি রাস্তা যাওয়ার জন্যে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।


বললাম না, কিছু খবর থাকে লিখতে বসলে চোখের জলে ভেসে যায়। দৃশ্যটা ভাবতে পারছেন! একটা মানুষ যারা কিচ্ছু নেই। স্ত্রী-র মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে চলেছেন। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার। খবরের লোক বলে সরকারের গাফলতি, প্রশাসনিক গাফলতির কথাটাই তুলে ধরলাম। কিন্তু মনে মনে ভাবছি ভালবাসা কী একেই বলে?