নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবাসে কিডনিপাচার চক্রের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পরিজনদের থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন যুবক। সত্য লুকাতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না তামিলনাড়ুর ভোল্লোরের বাসিন্দা বছর তিরিশের ইয়াসির আহমেদ। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। তবু মিথ্যে বলে তাঁদের থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। পাছে প্রকাশ হয়ে যায়, আয়ের উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়ে একটি কিডনি খুইয়ে বসেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাস ছয়েক আগে তামিলনাডুর ভেল্লোর থেকে চাকরি নিয়ে মিশরের রাজধানী কায়রো যান ইয়াসির। সেখানে ট্যাক্সি চালাতেন তিনি। পুলিসকে ইয়াসির জানিয়েছেন, হঠাত্ই একদিন তার সামনে মোটা টাকার হাতছানি আসে। একটি কিডনি বিক্রি করে দেন তিনি। প্রথমটায় রাজি ছিলেন না ইয়াসির। তাঁর অভিযোগ, একটি চক্রের ফাঁদে পড়ে কার্যত তাঁকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। অবশেষে মুম্বইয়ের মালাদ এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ রাওয়ের কাছে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করে দেশে ফিরে আসেন ইয়াসির।


আরও পড়ুন- 'মাথা রুমালে ঢাকা কেন?' ছুড়ে ফেলা হল চলন্ত ট্রেন থেকে


তবে, তার এই কিডনি বিক্রির কথা এখনও পরিবারকে জানাতে পারেননি তিনি। সত্য লুকাতে নানা অছিলায় কাটান বাড়ির বাইরে। সংসার চালানোর জন্য অটো রিকস চালান যুবক। পরিজনদের জানিয়েছেন, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত তিনি, তাই ফিরতে পারবেন না বাড়িতে।


ইয়াসিরের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। যুবকের দাবি, 'শিক্ষা' নামে আমদাবাদের একটি পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে এই আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের। তাঁর কথায়, তাঁর মতো ভারতের বহু যুবক-যুবতী সেখানে অর্থাভাবে ভুগছেন। আর তাদেরকেই নিশানা করে এই সংস্থাটি। বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে কিডনি ও লিভার পাচার চক্র চালাচ্ছে তারা।