নিজস্ব প্রতিবেদন- গরুর জীবনের দাম যখন মানুষের থেকে বেশি তখন এভাবেই নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে মার খেতে হয়। আর গোরক্ষকদের এমনই প্রভাব-প্রতিপত্তি যে পুলিস নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। স্রেফ সন্দেহের বশে এক নিরীহ যুবককে কয়েক কিমি রাস্তা ধাওয়া করলে গোরক্ষকরা। তার পর তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করা হল। লাথি, ঘুঁষি, কিল, চড় কিছুই বাদ গেল না। যতক্ষণ না সেই যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে মারা হল। এর পর একটাই প্রশ্ন থাকে, কোনদিকে এগোচ্ছি আমরা! কোন ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে আমাদের সমাজ! এই সামাজিক অবক্ষয়ের পরিণাম কী!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধর্ম নিয়ে উন্মাদ, উন্মত্ত হয়ে উঠেছে দেশের কিছু মানুষ। গুরগাঁওয়ের ঘটনা। সেই গুরগাঁও যেখানে একের পর এক বহুজাতিক সংস্থার টাওয়ার গজিয়ে উঠছে প্রতি মাসেই। সারা দেশের অসংখ্য শিক্ষিত যুবক-যুবতী সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন চাকরির আশায়। ঠিক সেখানেই এক যুবককে গোমাংস রাখার সন্দেহে কিছু গোরক্ষক উন্মাদের মতো মারধর করলেন। প্রায় আট কিমি রাস্তা গোরক্ষকরা ধাওয়া করে একটি পিক-আপ ভ্যানকে। তার পর গাড়ি থেকে এক যুবককে নামিয়ে মারধর শুরু করে তারা। সেই যুবকের কোনও কথাই তারা শোনেনি। সব থেকে অবাক করা ব্যাপার, সেই যুবককে মারধরের সময় লোকজন ভিড় করে সব দেখল। এমনকী কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিয়ো তুললেন। 


আরও পড়ুন-  বুলেট ট্রেন চলবে এই সাতটি রুট ধরে, জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে শিগগির


লোকমান নামের সেই যুবককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি পুলিস। সামনে থাকা সত্ত্বেও নিরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পুলিসকর্মীরা। এমনকী ওই যুবককে যখন মারধর করছিলেন গোরক্ষকরা সেই সময় পুলিস ওই গাড়িতে থাকা মাংস ল্যাব টেস্টের জন্য পাঠাতে উদ্যোগী হয়। রাস্তায় যুবককে মেরে শান্ত হয়নি গোরক্ষকরা। তাঁকে আবার স্থানীয় এক গ্রামে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মেরে আধমরা করা হয়। গাড়ির মালিক জানিয়েছেন, গরু নয়, মোষের মাংস ছিল গাড়িতে। গত কয়েক বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করেন। পুলিস পরে বুঝতে পারে, ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। তখন অজ্ঞাতপরিচর ব্যক্তিদের নামে এফআইআর দায়ের করে। যদিও ভিডিয়োতে সবার মুখই স্পষ্ট ছিল। তবুও পুলিস দোষীদের খুঁজে পাচ্ছে না। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।