ওয়েব ডেস্ক: মাওবাদীদের হিটলিস্টে ফের এরাজ্য। গোয়েন্দাদের সন্দেহ,  ছক কষা হচ্ছে বড়সড় নাশকতার। হয়ত ভোটের আগেই,  নয়ত ভোট-পর্ব চলার সময়। গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য এমন কথাই বলছে। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় বাড়ছে মাওবাদী গতিবিধি। নাশকতা ঠেকাতে, তত্‍পর প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জঙ্গলমহলের অশান্ত দিন এখন অতীত। গত ৫ বছরে মাওবাদীদের গতিবিধি কার্যত চোখে পড়েনি গোটা জঙ্গলমহল জুড়েই। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা ফের আশঙ্কা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের মনে।


গতমাসেই পরপর ঘটে যায় কয়েকটি ঘটনা। ১০ ফেব্রুয়ারি মাওবাদীদের সমর্থনে পোস্টার পড়ে শালবনীতে। ১২ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হয় ল্যান্ডমাইন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ফের পোস্টার পড়ে মাওবাদীদের সমর্থনে। 


গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের আগে বা ভোটের সময় জঙ্গলমহলে নাশকতার ছক কষছে মাও গেরিলারা। নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে মরিয়া তারা। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ওপারে ঘাটশীলা, পটমদা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে এরাজ্যের মাও নেতারা।


কিষেণজির মৃত্যুর পর ভেঙে যাওয়া মাওবাদী রাজ্য কমিটিকে সম্প্রতি পুনর্গঠন করা হয়েছে। অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশকে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গেরিলা বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে রঞ্জিত পাল ওরফে রাহুল। জঙ্গলমহলে ফের সংগঠন চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিকাশকে। সংগঠনের পলিটব্যুরোর এক বাঙালি নেতা ঝাড়খণ্ডে ডেরা বেঁধেছেন। লক্ষ্য, জঙ্গলমহলে সংগঠন পুনরুজ্জীবিত করা। ঝাড়খণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা মাও নেতারা সীমানা পেরিয়ে প্রায়ই রাতের অন্ধকারে ঢুকছে এরাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে।


 দু-রাজ্যের সীমানার খুব কাছেই বুরুডি গ্রাম।  ঘন জঙ্গলে ঘেরা এলাকা। সেখানেই একাধিক ক্যাম্প রয়েছে মাওবাদীদের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সীমানা পেরিয়ে এরাজ্যে চিরাকুটি, সিমুলপাল, লবণী, শাখাভাঙা সহ একাধিক গ্রামে মাওবাদীদের আসা-যাওয়া লেগেই রয়েছে। আরও খানিকটা এগিয়ে গেলে, সীমানার ওপারে পটমদা থেকে,  পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড়ের কাছেও ঘাটবেড়া সহ আশেপাশের গ্রামগুলিতে মাওবাদী গতিবিধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের প্রভাব এখনও সেরকম নজরে না পড়লেও, নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না প্রশাসন। সেই কারণেই সতর্ক তাঁরা। প্রায় রোজই চলছে তল্লাশি।