নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থাকার জন্য আগেও রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে আরও পাঁচ পুলিস কর্তার নাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে এমনই একটি নির্দেশ আসতে চলেছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ পুলিস কর্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নকে।


রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র, এডিজি বিনীতকুমার গোয়েল, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা, বিধাননগরের পুলিস কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং, কলকাতার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সুপ্রতিম সরকারের নাম থাকতে পারে ওই তালিকায়।


আরও পড়ুন: রাজীবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে কোনও চিঠি আসেনি : মুখ্যমন্ত্রী


রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা ঢুকতে চেষ্টা করায় রবিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক গোলমাল হয়। কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-এর অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রতিবাদে তিনি কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে পড়েন। সেখানে কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার যেমন হাজির ছিলেন, তেমনই ছিলেন ওই পাঁচ পুলিস কর্তা। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল যে এই পুলিস কর্তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?


আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্যের কারিগর মমতা, জানিয়ে দিলেন চন্দ্রবাবু


সোমবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও আইপিএস অফিসার যখন কোনও রাজ্যের প্রশাসনের অধীনে কাজ করেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এক্তিয়ার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের থাকে। কেন্দ্র বড়জোর ওই রাজ্যকে নির্দেশ দিতে পারেন।


এর পর মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বুধবার নবান্নে জানিয়েছিলেন, এই ধরনের কোনও চিঠি আসেনি।


আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের দিন স্থির করবে তদন্তকারী দল, সাফ জানালেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর


তার পরদিনই পাঁচ পুলিসকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার খবর এল। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আরও কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে খবর। তার মধ্যে থাকতে পারে, ওই আধিকারিকদের মেডেল কেড়ে নেওয়া বা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ করার মতো নির্দেশ।