নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশে স্পেশাল ট্রেনের টয়লেটে মিলল পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন স্যানিটাইজ করার সময়ে উদ্ধার হওয়া দেহ ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেল সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম মোহনলাল শর্মা। উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার বাসিন্দা ছিলেন বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি। তবে, পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে মুম্বইয়ে কাজ করতেন তিনি। লকডাউনের পর লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের মতোই কাজ হারান তিনি। তাই মুম্বই থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি ও তাঁর সহকর্মীরা। 


২৩ মে ঝাঁসি পৌঁছনোর পর সেখান থেকে বাস্তি যাওয়ার জন্য মোহনলাল ও তাঁর সঙ্গীদের গোরক্ষপুরগামী একটি ট্রেনে তুলে দেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসন। সেই ট্রেনে উঠার পর তাঁর সঙ্গে কথাও হয় বলে জানিয়েছেন মোহনলালের এক আত্মীয়। তবে, তার পরের দিন অর্থাত্ ২৪ মে থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিজনরা। তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে এর পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাননি কেউই। 


ট্রেনটি গোরক্ষপুর থেকে ২৭ মে আবার ঝাঁসি ফিরে আসে। সেই সময়ে নিয়মমাফিক কামরা স্যানিটাইজেশনের কাজ চলাকালীন টয়লেটের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর দেহ। 


রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্পেশাল ট্রেনের ক্ষেত্রে ট্রেন কোথাও পৌঁছনোর পর সেই ট্রেন স্যানিটাইজ করার আগে পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করে দেখার কথা নয়। ফলে বন্ধ কামরার টয়লেটের ভিতর এমন ঘটনার কথা কেউ জানতে পারেনি। 


কিন্তু কিভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির? রেলের তরফে টুইট করে জানানো হয়, যাত্রাকালে কখনও কোনও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানাননি ওই ব্যক্তি। ট্রেনে ওঠার আগে তাঁর নিয়মমাফিক করোনাভাইরাস স্ক্রিনিংও করা হয়েছিল বলে জানায় রেল। অহেতুক অন্য গুজব যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক করে দেন রেল কর্তৃপক্ষ।



আরও পড়ুন : ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে লকেটকে 'বাধা' পুলিসের, রাস্তায় বসে পড়লেন সাংসদ