নিজস্ব প্রতিবেদন: নোট বাতিলের তিন বছরে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে মোদী সরকার। একই দিনে মুডিজ রেটিং কমিয়ে দেওয়ায় আরও বেড়েছে অস্বস্তি। প্রধানমন্ত্রীর এ এক ঘোষণা আসমুদ্র হিমাচল গোটা দেশকে দাঁড় করিয়ে দেয় লম্বা লাইনে। নোটবন্দির পর বিরোধী শিবিরে প্রথম সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটবন্দির ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বলেছিলেন, এর ফলে দেশের অর্থনীতি ও  মানুষের জীবন বিঘ্নিত হবে। এখন বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিবিদ, সাধারণ মানুষ, বিশেষজ্ঞরা সবাই একই কথা বলছেন। আজ ব্যাঙ্ক সঙ্কটে, অর্থনীতি মন্দায়। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব, ব্যবসায়ী থেকে গৃহবধূ - সকলেই ভুক্তভোগী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নোটবন্দির পরের বছর বেকারত্বের হার ৬.১% যা গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বর্তমান মন্দা পরিস্থিতির জন্যও নোটবন্দিকেই দায়ী করছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর টুইট, নোট বাতিলের মতো সন্ত্রাসবাদী হামলার ৩ বছরে, ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে। বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। লাখো মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ছোট ব্যবসা ডুবে গেছে। যাঁরা এই আক্রমণের পিছনে, তাঁদের ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হওয়া এখনও বাকি। নোটবন্দি, অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।


সরকারের যুক্তি, নোট বাতিলের ফলে কালো টাকায় লাগাম পড়ানো গেছে। বিরোধীদের অভিযোগ আসলে দুর্নীতি হয়েছে। বাতিল নোটের প্রায় সবটাই ব্যাঙ্কে ফিরে আসায় কালো টাকায় লাগামের দাবিও অর্থহীন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নোটবন্দির পর ডিজিটাল লেনদেনের দিকে এগিয়েছে দেশ। বিরোধীরা বলছেন, এখন বাজারে নগদের জোগান প্রায় আগের মতোই। এই হঠকারী সিদ্ধান্তে বলি হয়েছে দেশের অর্থনীতি।



সরকারের যুক্তি, নোট বাতিলের পর জাল নোটের রমরমা কমায় বিপদে জঙ্গিরা। বিরোধী শিবির বলছে, পুলওয়ামাই প্রমাণ, এই যুক্তি অসার। নোট বাতিলের তৃতীয় বর্ষপূর্তির দিনই এসেছে আরও এক খারাপ খবর। ভারতীয় অর্থনীতিকে, স্টেবল বা সুস্থির পর্যায় থেকে নামিয়ে এনে নেগেটিভ বা ঋণাত্মক তালিকাভুক্ত করেছে রেটিং সংস্থা মুডি'জ। তাদের দাবি, ভবিষ্যতে আর্থিক বৃদ্ধি কমার ঝুঁকি, অর্থনীতিকে শক্তি জোগাতে সরকারি নীতির দুর্বলতা, সরকারি ঋণ লাগাতার বাড়তে থাকায় ভারতের রেটিং কমানো হয়েছে।


আরও পড়ুন- নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় আজই রায় অযোধ্যা মামলার, জারি ১৪৪ ধারা, মধ্য রেলে বাড়ানো হয়েছে সুরক্ষা


মুডি'জ রেটিং কমানোয় বিদেশি লগ্নি আসা কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। অর্থমন্ত্রকের পাল্টা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থনীতির কাঠামো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার মোকাবিলায় সরকার পদক্ষেপ করছে। আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা অটুট আছে বলেই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার ভারতকে ইতিবাচক চোখে দেখছে।  নোটবন্দির প্রতিবাদে, এ দিন দিল্লিতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস।