Chandrayaan 3: ল্যান্ডিং নয়, চন্দ্রাভিযানের সবচেয়ে জটিল অংশ ছিল এটাই...
Chandrayaan 3: অবতরণের শেষ ২০ মিনিটে চন্দ্রযানের সঙ্গে দ্রুত কমে আসছিল চাঁদের মাটির দূরত্ব। উত্কণ্ঠা বাড়ছিল ইসরোর মিশন কন্ট্রোলে। শেষপর্যন্ত নিরাপদেই ছাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলে ল্য়ান্ডার বিক্রম। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়ে দেন চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারত
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল চন্দ্রযান। আরও স্পষ্ট করে বললে বুধবার সন্ধে ছটা চার মিনিটে চাঁদ ছুঁল ল্য়ান্ডার বিক্রম। ল্যান্ড করার আগে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবিও পাঠিয়ে দিয়েছে সে। এর আগে চাঁদে অবতরণ করছিল আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার মহাকাশ যান। তবে ভারতের সাফল্য হল বিপদসঙ্কুল দক্ষিণ মরুতে অবতরণ। এই কৃতিত্ব আর কারও ঝুলিতে নেই। তবে ইসরো প্রধান বলছেন অবতরণের শেষ কুড়ি মিনিটের উত্কন্ঠার সময় পেরিয়ে মাটি ছোঁয়ার থেকেও গোটা অভিযানের অন্য একটি ধাপ ছিল আরও চ্যালেঞ্জিং।
আরও পড়ুন-'বিকশিত ভারতের শঙ্খনাদ', চন্দ্রযান চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর কী বললেন মোদী
অবতরণের শেষ ২০ মিনিটে চন্দ্রযানের সঙ্গে দ্রুত কমে আসছিল চাঁদের মাটির দূরত্ব। উত্কণ্ঠা বাড়ছিল ইসরোর মিশন কন্ট্রোলে। শেষপর্যন্ত নিরাপদেই ছাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলে ল্য়ান্ডার বিক্রম। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়ে দেন চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারত। একটা বিষয় বারবার বলা হচ্ছিল অবতরণের আগে শেষ ২০ মিনিট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল। কিন্তু ইসরো প্রধান বললেন অন্য কথা। এস সোমনাথ বলেন, গোটা মিশনটির জটিল অংশ ছিল লঞ্চিং। ভুললে চলবে না GSLV Mark 3 রকেট মহাকাশ যানটিকে ঠিকঠাক কক্ষপথে স্থাপন করেছিল। প্রসঙ্গত, GSLV Mark 3 রকেটেই ছিল ল্য়ান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান।
ইসরো প্রধান বলেন, চন্দ্রায়ন-৩ মডিউলটি ৩৬,৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে চাঁদের কক্ষপথে পাড়ি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়। গোটা পথটাই ভালোভাবে পার করেছে চন্দ্রযান। সোমনাথ বলেন, চন্দ্রাভিযানের দ্বিতীয় জটিল ধাপ ছিল ল্যান্ডিং ও ক্যাপচারিং অব মুন। এখানে ছোট্ট একটা ভুল করলে গোটা অভিযানটাই বিফলে যেত। ক্যাপচারিং অব মুন কী? এটি হল চন্দ্রযান চাঁদের ঠিক কোন জায়গায় অবতরণ করবে তা চিহ্নিত করা। এই ক্ষেত্রে কোনও ভুল করলেই বিক্রম যে মুহূর্তে চাঁদের মাটি ছোঁবে তখনই তা ভেঙে পড়তে পারে। ল্য়ান্ডারকে অরবিটার থেকে আলাদা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এতদিন মহাকাশে কাজ করার পরও এটিকে ঠিকঠাক কাজ করতে হবে। তা না হলেই সব শেষ। সেটা ঠিকঠাক করেছে চন্দ্রযান। আর একেবারে শেষ মুহূর্তে বিক্রম তার কাজটা ঠিকঠাক করেছে।