নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর!  মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে তা স্যুটকেসে ভরে ফেলল বাবা।  তারপর সেই দেহ রেখে এল এক অটোতে। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় মুম্বইয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে অরবিন্দ তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন এই খুন ? পুলিসের জেরায় অরবিন্দ জানিয়েছে, মাস ছয়েক আগে  উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে মুম্বইয়ে আসে তার মেয়ে প্রিন্সি।  মুম্বইয়েই সে একটি কেম্পানিতে চাকরি করতে শুরু করে। সেখানেই এক মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়ে যায় সে। ওই যুবককে বিয়ে করার জন্য জেদ ধরে বসে মেয়ে। কিন্তু তা মেনে নিয়ে পারেননি অরবিন্দ।  কিন্তু কোনওভাবেই তার জেদ ছাড়েনি মেয়ে।


আরও পড়ুন-ফল বাংলা স্টল-রেশন দোকান ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী একযোগে বিক্রি শুরু করল ভর্তুকির পেঁয়াজ


মুম্বইয়ের মালাডে একটি ট্রাভেল এসেন্সিতে কাজ করেন অরবিন্দ।  মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, মুসলিম ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে নিয়ে মেয়ের সঙ্গে প্রায়ই মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো অরবিন্দের। দিনের পর দিন ওই পরিস্থিতি চলতে থাকায় শেষপর্যন্ত মেয়েকে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অরবিন্দ।  গত শুক্রবার ওই বিয়ে নিয়ে ফের বাবার সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় মেয়ের। এদিন মেয়ে অরবিন্দকে জানায় ওই মুসলিম ছেলেকেই সে বিয়ে করতে চলেছে। ওই কথা শুনেই মেয়েকে খুন করে ফেলেন অরবিন্দ(Mumbai murder)। তার পর দেহ টুকরো করে একটি স্যুটকেসে  ভরে ফেলেন।



আরও পড়ুন-ধর্মের ভিত্তিতেই তৈরি নাগরিকত্ব বিল!  অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ মার্কিন কমিশনের


পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে দেহের কয়েকটি অংশও এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। দেহের ওপরের অংশ এখনও উদ্ধার হয়নি।  জানানো হয়েছে,  খুনের পর একটি অটো ডেকে টিটিওয়ালা স্টেশনে যান অরবিন্দ। সেখান থেকে ট্রেন ধরে চলে যান কল্যাণ স্টেশনে। সেখান থেকে অন্য একটি অটো ধরে চলে যান ভিভান্ডি।  সেখানেই দেহাংশ ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ব্যাগ থেকে গন্ধ বের হতে দেখে ব্যাগে কী রয়েছে তা জিজ্ঞাসা করে বসেন অটোচালক। ওই কথা শুনেই দৌড়ে পালিয়ে যান অরবিন্দ।  আচমকা ওই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অটো চালক মহাত্মা ফুলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। তার পরই ওই খুনের বিষয়টি সামনে এসে যায়।


তদন্তে নেমে পুলিস ধীরে ধীরে প্রথম অটোচালককে চিহ্নিত করে ফেলে পুলিস। তার পরেই অববিন্দের একটি স্কেচ তৈরি করা হয়। অটোচালকের কাছ থেকে জানা যায় ইন্দিরা নগর থেকে উঠেছিলেন তিওয়ারি।  এরপরই অরবিন্দের সন্ধান পেয়ে যায় পুলিস।