ধর্মের ভিত্তিতেই তৈরি নাগরিকত্ব বিল! অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ মার্কিন কমিশনের
কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী ও ভারতের সংবিধান দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকারের কথা বলে। ওইসব আদর্শের পরিপন্থী এই বিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে চলেছেন অমিত শাহ-সহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা! এমনই সুপারিশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন।
আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশের মুসলিমদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, আশ্বাস অমিত শাহের
সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশের উত্তরপূর্বে। সাংসদ সংখ্যা কম থাকার কারণে লোকসভায় বিলটি পাস করাতে না পারলেও বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। বিলটি নিয়ে সোমবারই সরব হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই কমিশন।
বিলটিকে বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের তরফে। শুধু তাই নয়, বলা হয়েছে, ধর্মীয় মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিলটি যদি রাজ্য সভায় পাস হয়ে যায় তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী ও ভারতের সংবিধান দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকারের কথা বলে। ওইসব আদর্শের পরিপন্থী এই বিল। এনিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন। ধর্মীয় মানদণ্ডের ওপরে ভিত্তি করে বিলটি লোকসভায় এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব বিলকে সমর্থন করায় দলের বিরুদ্ধেই সরব প্রশান্ত কিশোর, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা জেডিইউয়ের
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship (Amendment) Bill) বেআইনি ও অসাংবিধানিক। এনিয়ে অমিত শাহ(Amit Shah) সংসদে বলেন, এই বিল সংবিধানের ৫ ও ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেনি। এমনকি নতুন আইন তৈরির ব্যবস্থাও রয়েছে সংবিধানে।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে বহু বাংলাদেশিকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। উগান্ডার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কেন নয়। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। আমরা তা করিনি। বেশিরভাগ মুসলিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। বাকিরা তৈরি করেছেন ভারত। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন হতো না।