নিজস্ব প্রতিবেদন : কোলের সাত মাসের শিশু খিদেতে কাঁদছে। তাই রাস্তার একধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে, গাড়ির মধ্যে বসেই সাত মাসের সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছিলেন মা। আচমকাই সেখানে উপস্থিত হয় ট্রাফিক পুলিসের গাড়ি। 'বাজেয়াপ্ত' করা হয় গাড়িটিকে। শিশু ও মহিলা সহ গাড়িটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কিছুটা দূর। মুম্বইয়ের এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই হইচই শুরু হয় সব মহলে। প্রাথমিক তদন্তের পর সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শিশুটির মা জ্যোতি মালে জানিয়েছেন, রাস্তায় সেই সময় আরও দু-তিনটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। কিন্তু ট্রাফিক কনস্টেবল এসে তাঁর গাড়িটিকেই 'বাজেয়াপ্ত' করেন। তাঁকে গাড়ি থেকে নামারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। 'আটক' জ্যোতি মালের আরও অভিযোগ, তিনি অসুস্থ, তাঁর সঙ্গে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছিল। সেই প্রেসক্রিপশন তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁর আর্জিতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি অভিযুক্ত কনস্টেবল।



মুম্বইয়ের মালাদে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটার সময় রাস্তায় উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জ্যোতি মালের আর্জিতে কান না দিয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত। এমনকি রাস্তায় উপস্থিত পথচারীরাও কনস্টেবলকে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মহিলা ও শিশুটির ক্ষতি হতে পারে বলে, সাবধান করার চেষ্টা করে উপস্থিত জনতা।


আরও পড়ুন, টুইটারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক চুক্তি সারল ভারতীয় রেল


এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর সাসপেন্ড করা হয়েছে শশাঙ্ক রানে নামের অভিযুক্ত কনস্টেবলকে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুম্বই পুলিসের জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার।