স্কুলে শৌচাগার থেকে উদ্ধার ছাত্রের দেহ, উত্তাল দিল্লি
স্কুল দাবি করে, তুষার ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে একই দাবি পুলিসেরও। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে তুষারের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে স্কুলের দাবি মানতে নারাজ তুষারের পরিবার। গোটা ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডের ছায়া এবার দিল্লিতে। স্কুলের বাথরুম থেকে উদ্ধার ক্লাস নাইনের ছাত্রের দেহ। ঘটনাধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্কুলের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩ সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিস। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দিল্লির কারওয়ালনগর।
বৃহস্পতিবার জীবন জ্যোতি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় তুষার কুমারের সংজ্ঞাহীন দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- সিনেমা হলের বাইরে প্রকাশ্যে ধর্ষণ তরুণীকে
কিন্তু কী করে তার মৃত্যু হল? উঠছে প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
স্কুল দাবি করে, তুষার ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে একই দাবি পুলিসেরও। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে তুষারের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে স্কুলের দাবি মানতে নারাজ তুষারের পরিবার। গোটা ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা।
এরপরই স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখে পুলিস। সেখানে দেখা যায় তুষারকে তার ৫ সহপাঠী মারধর করছে। বন্ধুদের মধ্যে সেই সময় ঝামেলা চলছিল বলেও জানতে পারে পুলিস। এরপরই খুনের মামলা রুজু করে পুলিস।
আরও পড়ুন- 'ট্যাটু থাকলে চাকরি না পাওয়ার কারণ নেই', রায় জানাল বম্বে হাইকোর্ট
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই স্কুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চলে অবরোধ-বিক্ষোভ। ঘটনার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলের পঠন-পাঠন। মুখে কলুপ এঁটেছেন স্কুলের কর্মীরাও।