নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে মেয়েদের বিয়ের বয়সের সময়সীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এবার এই ব্যাপারে মুসলিম লিগের মহিলা শাখার তরফে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হল। সেই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই ব্যাপারে যেন আচমকা কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। মুসলিম লিগের মহিলা শাখার সম্পাদক পিকে নুরবানা রশিদের দাবি, হঠাৎ করে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ২১ বছর করা হলে লিভ ইন বা অবৈধ সম্পর্কের সংখ্যা বাড়তে পারে। আর তাই সামাজিক অবক্ষয়ের সম্ভাবনা প্রবল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নুরবানা আরও দাবি করেছেন এদেশে গ্রামীণ এলাকায় এখনও ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগেই। সেক্ষেত্রে সরকার হঠাৎ করে কোনও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আখেরে লাভ হবে না। বরং ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে আটকানোর জন্য কড়া আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছেন তিনি। নুরবানা একটি সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি করেছেন, শুধুমাত্র কেরলে ২০১৯ সালে ৩০০-র বেশি মেয়ের ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এদেশে মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ১৮ করা হলেও অনেকেই সেই আইন মানছে না। তাই নতুন করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলে কোনও লাভ হবে না। এদিকে জয়া জেটলির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কমিটি পরামর্শ দিয়েছে, এদেশে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স যেন ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হয়।


আরও পড়ুন-  দেশবাসীকে দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির, মাতৃশক্তিকে সম্মানের বার্তা কোবিন্দের


মহিলা শাখার সম্পাদক দাবি করেছেন, সিদ্ধান্ত বদলের আগে মোদী সরকার যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এদিকে মুসলিম লিগ অবশ্য জানিয়েছে, মহিলা শাখার এই মতামত তাদের ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে মুসলিম লিগের মতামতের কোনো সম্পর্ক নেই।