৪ শাবকের জন্ম দিল নামিবিয়ান চিতা, কুনো ন্যাশনাল পার্কে খুশির হাওয়া
অক্টোবর মাসেই সামনে আসে কুনোর একটি চিতার গর্ভবতী হওয়ার খবরটি। তখন চিতা কনসারভেশন ফান্ডের ড. লরি মার্কার বলেছিলেন, `হ্যাঁ, এটা সত্যি। একটি চিতা সম্ভবত গর্ভবতী। আমরা এখন-ই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু তেমনটাই মনে হচ্ছে। আর সেরকম হলে এটাই হবে আশা নামে ওই চিতার প্রথম শাবক।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: সুখবর। কুনো ন্যাশনাল পার্কে খুশির বাতাবরণ। ঘরে এসেছে নতুন ৪ সদস্য। কুনো ন্যাশনাল পার্কে জন্ম নিয়েছে ৪টি চিতাশাবক। একদিকে যখন নামিবিয়া থেকে আসা ৮টি চিতার মধ্যে একটি চিতার মৃত্যু ঘটেছে, তখন এই খবর নিঃসন্দেহে নিদারুণ আনন্দের। মা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নামিবিয়া থেকে আসা একটি চিতা। উল্লেখ্য, ৩ দিন আগেই কিডনির অসুখের কারণে মৃত্যু হয়েছে নামিবিয়া থেকে আসা 'সাশা' নামের চিতাটির।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসেই সামনে আসে কুনোর একটি চিতার গর্ভবতী হওয়ার খবরটি। তখন চিতা কনসারভেশন ফান্ডের ড. লরি মার্কার বলেছিলেন, 'হ্যাঁ, এটা সত্যি। একটি চিতা সম্ভবত গর্ভবতী। আমরা এখন-ই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু তেমনটাই মনে হচ্ছে। আর সেরকম হলে এটাই হবে আশা নামে ওই চিতার প্রথম শাবক।' লরি মার্কার আরও বলেছিলেন, 'আমরা এখন অপেক্ষা করে আছি কী হয় দেখার জন্য। প্রজেক্ট চিতা টিমের সবাই প্রস্তুত আছে। যদি ওই চিতার সত্যিই শাবক হয়, তবে এটা নিঃসন্দেহে আরেকটা উপহার হবে নামিবিয়ার তরফে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব। তবে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, ওই চিতাটি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা-ই প্রবল।'
১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয় ৮টি চিতাকে। প্রজেক্ট চিতার অংশ হিসেবেই ভারতেনিয়ে আসা হয় ৮টি আফ্রিকান চিতা। মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে রাখা হয় তাদের। ৭০ বছর পর আবার ভারতে আসে চিতা। আগে ভারতে এশিয়াটিক চিতার বাস ছিল। কিন্তু ছবিটা বদলে যায় ১৯৫২ সালে। দেশে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় চিতাকে। অবশেষে ৭০ বছর পর দেশে চিতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়। মোদীর জন্মদিনেই ঘরে আসে ৮ আফ্রিকান চিতা।
ভারতীয় বায়ুসেনার চপারে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে আসে চিতাগুলি। তারপর তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। এরপর তাদের মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে তাদেরকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নির্দিষ্ট এনক্লোজারে ছেড়ে দেন। অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই পুরো বিষয়টি তদারকি করেন।
আরও পড়ুন, Vande Bharat Express: বন্দে ভারত-এ পাথর ছুড়লে কত বছর জেল, জানিয়ে দিল রেল