নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার গুজরাট বিধানসভায় গোধরা পরবর্তী হিংসা নিয়ে নানাবতী-মেহতা কমিশনের রিপোর্ট পেশ হয়। ওই রিপোর্টে তত্কালীন নরেন্দ্র মোদী পরিচালিত সরকারকে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হল। বলা হয়েছে, ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী হিংসা সংগঠিতভাবে হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তত্কালীন গুজরাট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য মন্ত্রী-আমলাদের ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে নানাবতী-মেহতা কমিশন। রিপোর্টের দাবি, গুজরাটে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, তা সংগঠিতভাবে হয়নি। সে সময় হিংসা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ করে তত্কালীন সরকার। উল্লেখ্য, ওই হিংসায় মৃত্যু হয় এক হাজারের বেশি মানুষ।


এর আগে এই কমিশন ২০০৯ সালে রিপোর্টের প্রথমভাগ পেশ করে। সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুনে ৫৯ করসেবকের মৃত্যু নিয়ে দেওয়া আংশিক রিপোর্ট ২০০৯ সালে বিধানসভায় পেশ হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে তত্কালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেলের কাছে অবশিষ্ট অংশের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে ওই কমিশন।



আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে কয়েকটি বিরোধী দল: মোদী


গত সেপ্টেম্বরে এক জনস্বার্থ মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের কাছে সরকারের তরফে জানানো হয় শীতকালীন অধিবেশনেই নানাবতী-মেহতা কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হবে। গোধরা ট্রেনে আগুনে করসেবকের মৃত্যু এবং পরবর্তী সময়ে হিংসার জেরে ২০০২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি এক সদস্যের  কমিশন গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে টি নানাবতী এবং হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে.জি শাহকে নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। বিচারপতি শাহের মৃত্যুর পর ওই কমিশনে নিয়োগ করা হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ.কে. মেহতা।