নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে প্রবল চাপে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, জামিন দিয়েই এই মামলার শুনানি হবে। আর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে যখন শুনানি চলছে তখন শীর্ষ আদালতে কেন? ওই কথা শোনার পরই সিবিআই আইনজীবী তুষার মেহতা কিছুক্ষণ নেন। তার পরেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Live: ব্যারাকপুরে গঙ্গার ঘাটে ভাঙন, কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে Control Room


এদিন শুনানিতে তুষার মেহতা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটকের ধরনার কথা তোলেন। পাল্টা প্রশ্ন করে আদালত। সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীরা ধরনা দিচ্ছেন এটা কখনওই সমর্থন করা যায় না। তা বলে ওই ধরনার জন্য কীভাবে অভিযুক্তদের জেলে রাখা সম্ভব। বৃহত্তর বেঞ্চে যেখানে শুনানি হচ্ছে সেখানে শীর্ষ আদালতে আসতে হল কেন? হাইকোর্টে কি আস্থা নেই সিবিআইয়ের?


সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ওই মামলা সরানোই নয়, সিবিআই চাইছে মামলা অন্য আদালতে সরিয়ে নিয়ে যেতে। ওই কথা শুনে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার পরই শুনানি হতে পারে। আপনারা মামলা প্রত্যাহার করুন।  এদিকে, মদন মিত্রর আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের দাবি, মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয় জামিন দিয়েই মামলার শুনানি করতে হবে। 


আরও পড়ুন-বুদ্ধ-জায়াকে ফোন মমতার, সবরকমভবে পাশে থাকার আশ্বাস


উল্লেখ্য, বুধবার ওই মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু বুধ ও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বন্ধ থাকছে। ফলে দেখার বিষয়, মামলাটি ফের কবে হাইকোর্টে ওঠে। প্রসঙ্গত, সিবিআই যখন সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানির আবেদন করে তাতে ১২টি ত্রুটি ছিল। তা শুধরে ফের শুনানির আবেদন করে সিবিআই।


সুপ্রিম কোর্টে নারদমামলার শুনানি নিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্টে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল তার সদুত্তর দিতে তারা পারেনি। প্রশ্ন করা হয়, একটা জামিন হওয়ার পরও এভাবে কীকরে স্থগিতাদেশ হয়। মামলা যখন হাইকোর্টে হচ্ছে তখন তা নিস্পত্তি হোক। সিবিআই অফিসের ধরনার জন্য অভিযুক্তদের জামিন পাওয়ার অধিকার কেন চলে যাবে।