নিজস্ব প্রতিবেদন : হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ফের একবার কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকেই টার্গেট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার কাংড়ায়  একটি সমাবেশে বলেন, ''দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও জাতপাতের রাজনীতির শিকার হিমাচল। তাই এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত থেকে বাঁচাতেই হবে এই রাজ্যকে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেসশাসিত হিমাচল প্রদেশে ৯ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গুজরাটের পাশাপাশি ৬৮ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভাকেও এবার পাখির চোখ করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ দলের প্রায় সব হেভিওয়েট নেতাই নির্বাচনের আগে হিমাচল প্রদেশে প্রচারে আসছেন। হারানো জমি ফিরে পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতিকে তুলে ধরেই প্রচারে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং। বর্তমানে জামিনে মুক্ত তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের সামনেও হিমাচল প্রদেশে লিড ধরে রাখা কার্যত কঠিন চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে যেভাবে বিজেপি জয় পেয়েছে, হিমাচলেও সেই ফর্মুলাই প্রয়োগ করতে চলেছে তারা।


আরও পড়ুন- মুম্বইয়ে উদ্ধব-মমতা বৈঠক


বৃহস্পতিবারের জনসভায় শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ''একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপকার পাচ্ছেন দেশবাসী। গর্ববোধ করছেন তাঁরা। কিন্তু একমাত্র কংগ্রেস আমাদের সমালোচনায় নেমেছে।'' মোদীর প্রশ্ন, ''এত বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের জন্য কী করেছে কংগ্রেস, যে আজকের উন্নয়নকে প্রশ্ন করছে তারা?''


এদিন মোদীর নিশানায় ছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। বলেন, ''তিনি এমন এক পরিবারে জন্ম নিয়েছেন, যাঁরা ভারতের বাসিন্দা হয়েও ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের বিশ্বাস করেন না। তাই হয়তো ডোকা লা ইস্যুতে ভারতের রিপোর্টকে উপেক্ষা করে তাঁকে(রাহুল গান্ধী) গোপনে চিনা গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছিল।''


প্রসঙ্গত, ডোকা লা ইস্যুতে চলতি বছর জুলাই মাসে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুই-য়ের সঙ্গে গোপনে দেখা করেন রাহুল। তাদের মধ্যে আলোচনাও হয় কিছুটা সময় ধরে। যদিও, প্রথমে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। পরে অবশ্য বিজেপি-র চাপে পড়ে বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি।


৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশের ৯ নভেম্বর ভোটগ্রহণ। ১৮ ডিসেম্বর ভোটগণনা।