নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়ের দশকে তখন মুষল পর্ব চলছে গুজরাট বিজেপির অন্দরে। একদিকে কেশুভাই প্যাটেল, অন্যদিকে শঙ্কর সিং বাঘেলা। দুয়ের দড়িটানাটানির মাঝে পড়ায় নরেন্দ্র মোদীকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেয় বিজেপি। দিল্লিতে দলের সদর দফতরে তখন সময় কাটত মোদীর। এরই মধ্যে লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় তাঁর। কিছুদিনের মধ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ীরও চোখে পড়েন তিনি। যদিও তাঁদের পরিচয় বেশ পুরনো। তবে দিল্লিতে প্রবাসের সময়ই নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে নেতৃত্ব প্রতিভা দেখতে পান বিজেপির তত্কালীন হাইকম্যান্ড। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরই মধ্যে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গুজরাটের কচ্ছ জেলা। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় ভুজ শহর। অভিযোগ ওঠে, কেশুভাই পটেলের সরকারের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি সামাল দিতে অদক্ষতার অভিযোগ ওঠে। এর পর উপ-নির্বাচনে হার হয় বিজেপির। বিজেপির ভোটপণ্ডিতরা বিপদ আঁচ করে গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী বদলের তোড়জোড় শুরু করেন। এরই মধ্যে একদিন নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। মোদীকে জিজ্ঞাসা করেন, কোথায় আছেন আপনি? দেখা করতে পারবেন?


জবাবে মোদী বলেন, আমি তো শ্মশানে আছি। এতে শঙ্কিত হয়ে মোদীর পরিবারের কুশল সংবাদ জানতে চান বাজপেয়ী। মোদী জানান, তাঁর পরিবারের সবাই সুস্থই রয়েছেন। প্রয়াত হয়েছেন তাঁর এক সাংবাদিক বন্ধু গোপাল। তাঁর শেষকৃত্যে শ্মশানে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়ার সঙ্গে একই বিমানে ছিলেন গোপাল। বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু মাধবরাও সিন্ধিয়ার শেষকৃত্যে সবাই ব্যস্ত থাকায় গোপালের শেষকৃত্যে তেমন কেউ আসেননি। তাই গোপালের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে শ্মশানে পৌছেছেন তিনি। 


সংসদে সোনিয়া গান্ধীকে ভাষা সহবত্ শিখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী


এর পর অটল বিহারীর সঙ্গে যখন মোদী দেখা করেন, তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জানান, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হবে মোদীকে। ২০০১ সালে প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন মোদী। তার পর বাকিটা ইতিহাস।