জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী-অজিত পাওয়ারের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে ১২ অক্টোবর শনিবার গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পূর্ব বান্দ্রায় বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে গুলি চালায় তিন জন। তিনটি গুলিতে বিদ্ধ করা হয় তাঁকে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বাবা সিদ্দিকিকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতোমধ্যেই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্নাইল সিং এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছে, পুলিস সূত্র জানিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, দু'জন তদন্তকারীদের বলেছে যে তারা গত এক মাস ধরে সিদ্দিকের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল।


দশেরা উপলক্ষে সিদ্দিক যখন আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি গাড়ি থেকে রুমাল দিয়ে ঢাকা তিনজন লোক বেরিয়ে আসে। তারা একটি ৯.৯ এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি করে, যার মধ্যে একটি সিদ্দিকীর বুকে আঘাত করে, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। একটি গুলি বাবা সিদ্দিকের গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ফাটল ধরে, নিশ্চিত করে যে একাধিক গুলি চালানো হয়েছিল। 


যে দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়: একজন উত্তরপ্রদেশের এবং অন্যজন হরিয়ানার। তৃতীয়  সন্দেহভাজন পলাতক, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনার ২৫-৩০ দিন আগে তারা মুম্বইতে এসেছিল। তবে থেকে বাবা সিদ্দিকির গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল অন্য একজন ষড়যন্ত্রকারী। এই কন্ট্রাক্ট কিলিং এর জন্য তারা আগে থেকে পেমেন্ট পায়। তদন্তে জানা যায়, হামলার কয়েকদিন আগে হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী কুরিয়ার এজেন্টের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছে দেয়।


অভিযুক্তদের মধ্যে যে এখনও পলাতক, জানা গিয়েছে সে মুম্বইয়ের কুরলাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। যার ভাড়া প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ২.৫ থেকে ৩ লাখ টাকাতে কনট্রাক্ট করে তারা। এই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। চার অভিযুক্তের মধ্যে, তিনজন এর আগে পঞ্জাবের একটি জেলে একসঙ্গে বন্দী ছিলেন, যেখানে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন সদস্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই সমিতির মাধ্যমেই তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই কন্ট্রাক্ট কিলিং এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গ্যাং এর প্রভাব এবং সংযোগ একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।


আরও পড়ুন: Maharastra: বিধানসভা ভোটের মুখে শ্যুটআউট, মুম্বইয়ে রাস্তায় গুলি করে খুন এনসিপি নেতাকে!


লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, সিদ্দিকি প্রচুর রক্তপাত হয় এবং তাকে বাঁচানোর জন্য সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে ১১.২৭ টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মৃতদেহ পরে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


সিদ্দিকি মুম্বইয়ের বান্দ্রা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনবারের বিধায়ক। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আশিস শেলারের কাছে এই আসনটি হেরে যান।


বাবা সিদ্দিকি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে পূর্বতন কংগ্রেস-অবিভক্ত এনসিপি সরকারের খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ, শ্রম, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ভোক্তা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সঙ্গে পাঁচ দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগ দেন সিদ্দিকি। 


অন্যদিকে, বলিউডের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সিদ্দিকির। বিভিন্ন সময়ে তাঁর দেওয়া জমকালো পার্টিতে বহু বলি তারকাকে দেখা গিয়েছে। ২০১৩ সালে তাঁর পার্টিতেই ‘মানভঞ্জন’ হয় শাহরুখ খান এবং সলমন খানের মধ্যে। দুই খানকে দু’পাশে নিয়ে তোলা তাঁর ছবি স্মরণীয় হয়ে আছে।


 


 


 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)