পিয়ালী মিত্র:  চুরি, খুন, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে দিল্লির সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না কলকাতা। এমনকি দেশের অন্যান্য মেট্রো সিটিগুলিও নয়। ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র পরিসংখ্য়ান অনুয়ায়ী কলকাতা হল দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর। একবার নয় পরপর তিনবার এই তকমা পেল কলকাতা। খোদ রাজধানীতে অপরাধের ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিঁধেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর হাতে এখন এনসিআরবি-র টাটকা রিপোর্ট। কী বলছে এনসিআরবি-র পরিসংখ্য়ান? কেন্দ্রীয় সংস্থায় ২০২১ সালের ওই রিপোর্ট বলছে কলকাতায় যেখানে গতবছর খুনের সংখ্যা ৪৫ সেখানে দিল্লিতে গতবছর খুন হয়েছেন ৪৫৪ জন। ধর্ষণের পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উঠবে। গতবছর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২২৬ জন। কলকাতায় সেই সংখ্য়াটা মাত্র ১১।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভারত-পাক ম্যাচে কোহলির আত্মবিশ্বাস নিয়ে তোপ পাক মহারথীর!


ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রেকর্ডকে হাতিয়ার করে অমিত শাহকে নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওই রেকর্ড হাতে পেয়েই অভিষেক ট্যুইট করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাতে এখন দুটো কাজ। একটা হল ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো। আর অন্যটা হল তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজধানীর পুলিসকে নিয়ন্ত্রণ করা। দিল্লিতে অপরাধের যে হার দেখা গিয়েছে তা দেখে আমি স্তম্ভিত। বাংলাকে দেখে শেখা উচিত।



কেন্দ্রীয় পুলিসের নজরদারিতে থাকা দিল্লিতে যেভাবে অপরাধ হয়েছে তাদের সঙ্গে তুলনা করলে অনেক পেছনে রয়েছে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদের মতো মেট্রো সিটি। ২০২১ সালে রাজধানীতে খুনে হয়েছেন ৪৫৪ জন। সেখানে ওই সংখ্যা মুম্বইয়ে ১৬২, বেঙ্গালুরুতে ১৫২, চেন্নাইয়ে ১৬১ ও হায়দরাবাদে ৯৮। দিল্লিতে গতবছর ধর্ষণের সংখ্য়া যেখানে ১২২৬, সেখানে মুম্বইয়ে ৩৬৪, বেঙ্গালুরুতে ১১৭, চেন্নাইয়ে ৪৫ ও হায়দরাবাদে ১১৬।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই ট্যুইটের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। বিজেপি নেতা বলেন, বাংলার বিরুদ্ধে সবসময় অভিযোগ ওঠে বাংলা কখনই ঠিকঠাক তথ্য দেয় না। বাংলায় যদি ৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে ১টা দেখানো হয়। যেটুকু তথ্য কেন্দ্র পায় তার উপরে ভিত্তি করেই এনসিআররি রিপোর্ট তৈরি করে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় উচিত তাঁর পিসিকে জিজ্ঞাসা করা যে রাজ্যে যত অপরাধ হয় তার কত শতাংশ রিপোর্ট তিনি কেন্দ্রকে দেন। রাজ্যে যেসব অপরাধ হয় তা ঢাকতে ব্যাস্ত রাজ্য সরকার। তাহলে এনসিআরবি রিপোর্টে তা দেখা যাবে কীভাবে। খুন বা পলিটিক্যাল মার্ডারের হিসেব যদি দেখা যায় তাহলে তো বাংলা উপরের দিকে থাকবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় যে আড়াইশো মানুষ মারা গিয়েছিল তা নিশ্চয় এনসিআরবির রিপোর্টে নেই নিশ্চয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)