নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশজুড়ে বিরোধীরা ‌যখন মহাজোট গড়ার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর তখন বিহারে নিজেদের ঘর গুছিয়ে ফেলল এনডিএ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসন সমঝোতা করে ফেললেন অমিত শাহ ও নীতীশ কুমার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ মাধ্যমের খবর অনু‌যায়ী আগামীবছর লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপি লড়াই করবে ২০টি আসনে। অন্যদিকে জেডিইউ লড়বে ১২ আসনে। লোকজনশক্তি পার্টি লড়াইয়ে নামছে ৫ আসনে।


আরও পড়ুন-আমডাঙায় আজও উদ্ধার বোমা-তীর ধনুক, অস্ত্রের খোঁজে জারি তল্লাশি


নীতীশ কুমার এনডিএতে ফেরার পর হাল আমলে তাঁর সঙ্গে এনডিএ জোটের সম্পর্ক ভালোমন্দ মিশিয়ে চলছিল। এমনকি লালুপ্রসাদ ‌যাদবের ছেলের বিয়েতে ‌যাওয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একাধিক মন্তব্যের ফলে মনে করা হচ্ছিল নীতীশ শক্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিলেও নিতে পারেন।


সম্প্রতি বিহারের এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তখনই আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে ‌যায় বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে বিহারে ৪০ লোকসভা আসনের মধ্যে ২০টি ‌যাবে বিজেপির ভাগে। অন্য ২০টি ‌যাবে জেডিইউ শিবিরে। জেডিইউ তাঁর ভাগের আসন থেকে ৫টি দেবে রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টিকে। আরও তিনটি আসন অন্যান্যদের দেওয়া হবে। অন্যদিকে বিজেপি ২টি আসন দেবে রাষ্ট্রীয় লোকজনশক্তি পার্টিকে।


আরও পড়ুন-বাংলার সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে ১০ লক্ষ টাকা, চাকরির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর


বর্তমানে বিহারে বিজেপির হাতে রয়েছে ২২টি আসন। জোটের খাতিয়ে সে ২টি আসন দিতে চায় রাষ্ট্রীয় লোকজনশক্তি পার্টিকে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশহায়া লোকজনশক্তি পার্টির। বাল্মিকিনগর ও শিভার আসনটি লোকজনশক্তি পার্টিকে দেওয়ার কথা হচ্ছে বলে খবর। তবে ভাগলপুর আসনে লড়াই করবে বিজেপি। এই আসনে গতবার হেরেছিল গেরুয়া শিবির। একইভাবে নীতীশ কুমারের জেডিইউ লড়াই করবে মুঙ্গেরে। এই আসনে গতবার হেরেছিলেন নীতীশের আত্মীয় লল্লন সিং।


ধানবাদ আসনটি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনটি পড়েছে জেডিউইয়ের ভাগে। ওই আসনটি বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা কীর্তি আজাদের।