জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অসমে বেড়াতে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হল এক নেপালি তরুণীর। তাঁর জামা ছিঁড়ে দেখা হয় তিনি আদতে মহিলা কিনা। কারণ তিনি পুরুষের পোশাক পরেছিলেন। এনিয়ে এফআইআর করতে গেলে তাকে দেখে পুলিস প্রবল হাসাহাসি করে বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। অসমের জোরহাটের ওই ঘটনায় তোলপাড়া রাজ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'গোটা হিন্দুস্তানটাকেই তো আপনি জেল বানিয়ে ফেলেছেন'


সাধারণভাবে বেড়াতে গেলে মহিলারা এমন সুবিধেজনক পোশাক পরেন যা সাধারণভাবে পরে থাকেন পুরুষরা। তবে পুরুষদের জন্য একেবারে পৃথক কোনও পোশাক আছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।  ওই নেপালি তরুণীর দাবি তিনি শারীরিক হেনস্থার শিকার হন জোরহাটের মারিয়ানি এলাকাতে। কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে কারণ তিনি ছেলেদের পোশাক পরেছিলেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই তরুণী দাবি করেন, তিনি পুরুষ নাকি মহিলা তা জানার জন্য কয়কেজন তার জামা ছিঁড়ে ফেলে। এনিয়ে তিনি যখন পুলিসকে বলেন পুলিস নাকি তাঁকে দেখে হাসাহাসি করে। তরুণীর আরও দাবি হেনস্থাকারী দলটিতে ছিল ৬-৭ জন। তাদের মধ্যে ছিল এক মহিলা ও ববি চৌধুরী নামে এলাকার এক সাংবাদিকও। ওই সব লোকজন তার টি শার্টের অর্ধেক ছিঁডে় ফেলে।


এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে যায়। ওই ঘটানর জেরে পুলিস এখনওপর্যন্ত একটি এফআইআর নিয়েছে। ট্যুইট করে বিষয়টি জানিয়েছে অসম পুলিস।


ঘটনাটি গত ১ এপ্রিলের। ওই তরুণীর দাবি, ওইদিন সন্ধায় মারিয়ানি এলাকায় তাঁকে একটি গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয়। ওই দলে থাকা মহিলাই ওই নেপালি তরুণীর টি শার্ট ছিঁড়ে দেখতে বলেন। বয় কাট চুল ও টি শার্ট পরার দরুণনই তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। থানায় তিন ঘণ্টা তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। এখানেই শেষ নয়, ছোঁড়া টি শার্ট দেখিয়ে পুলিসের কাছেও প্রমাণ করতে হয় তিনি আসলে মহিলা।