চাকরিপ্রার্থী নয় চাকরিদাতা তৈরির ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায়: মোদী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল এই দুনিয়ায় আমাদেরও দ্রুত বদলাতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমূল বদলে যাচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। দশম ও দ্বাদশে আর বোর্ডের পরীক্ষা নয়। তার পরিবর্তে চালু হচ্ছে ৫+৩+৩+৪ প্যাটার্ন। নতুন এই ব্যবস্থায় পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারবে পড়ুয়ারা। বৈপ্লবিক এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চাকরিদাতার সংখ্যা বাড়বে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন-মহিলা কর্মীদের শৌচালয় পরিষ্কার হয় না! অভিযোগ পেয়ে ঝাঁটা হাতে নামলেন খোদ মন্ত্রী
শনিবার স্মার্ট ইন্ডিয়া হেকাথেলন-এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে বেশি জোর দিয়েছে চাকরিদাতাদের ওপরে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা, সর্বস্তরেই জোর দেওয়া হয়েছে নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে। সরকারের উদ্দেশ্য হল, ৫০ শতাংশ এনরোলমেন্ট ধরে রাখা। একজন পড়ুয়া একাধিক বিষয় পড়তে পারবে। পড়ুয়া যা পড়তে চাইবে সেটাই সে পড়তে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল এই দুনিয়ায় আমাদেরও দ্রুত বদলাতে হবে। জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করতে দেশের যুব সমাজের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। স্কুল ব্যাগের বোঝা থেকে শিক্ষার আনন্দের দিকে এগোচ্ছি আমরা। বহু বছর ধরে শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে পড়ুয়াদের ওপরে বোঝা তৈরি হচ্ছিল। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে পড়ুাদের ও তাদের ভবিষ্যেতের দিকে তাকিয়ে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রে। কী রয়েছে সেই নতুন ব্যবস্থায়?
কেন্দ্রের পরিকল্পনা হল, দশম ও দ্বাদশ শ্রণিতে আর নতুন করে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে আনা হচ্ছে ৫+৩+৩+৪ পদ্ধতি। এখানে প্রাথমিককেও আনা হচ্ছে স্কুলের আওতায়। ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টু-কে রাখা হচ্ছে প্রি-প্রাইমারির মধ্যে। এটিকে বলা হচ্ছে ফাউন্ডেশন কোর্স।
নতুন ব্যবস্থায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্টেজ করা হচ্ছে। এটিকে বলা হচ্ছে সেকেন্ডারি স্টেজ। ফলে ওই স্টেজ চালু হলে এখনকার মতো আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা হবে না।
আরও পড়ুন-আরও কয়েক দশক থেকে যাবে করোনার ভয়াবহ প্রভাব! বিশ্বকে সতর্ক করল WHO
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৪ বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা নেবে বোর্ড। বাকি নেবে স্কুল।
এই চার বছরের কোর্স হবে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি। অর্থাত্ পড়ুয়ারা তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারবে। তবে দেখতে হবে ওই কম্বিনেশন পরবর্তিতে উচ্চশিক্ষায় যেন অসুবিধার কারণ না হয়।
এদিকে, উচ্চশিক্ষায় যারা গবেষণা করবে তাদের ৪ বছরের কোর্স হবে। এমফিল করতে হবে না। স্নাতক স্তরে প্রতি বছরের পর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। দ্বিতীয় বছরের পর দেওয়া হবে ডিপ্লোমা। তৃতীয় ও চতুর্থ বছরের পর দেওয়া হবে স্নাতক সার্টিফিকেট