নিজস্ব প্রতিবেদন- অনেক সময় দেখা যায়, রাস্তার পাশে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কেউ পড়ে থাকলেও আশপাশ থাকা মানুষজন তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন না। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সময় মতো সাহায্য না পেয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষ শেষমেশ রাস্তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। কেন এদেশে একজন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসে না! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আন্দাজ করা যায়, পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে পড়ার ভয়ে লোকজন দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিকে এড়িয়ে যান। আসলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাউকে সাহায্য করে হাসপাতালে পৌঁছে দিলে পুলিসি তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে। যে ব্যক্তি সাহায্য করেন তাঁকে পুলিস একাধিক প্রশ্ন করে। কখনো কখনো থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এসব ঝক্কি পোহাতে চান না অনেকেই। তাই চোখ বুজে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলে যান। কিন্তু এবার থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করলে কাউকে পুলিশি ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৮৯ সালের মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট- একাধিক সংশোধন করা হয়েছে। এই বছর মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট-এ একাধিক নতুন আইন সংযোজন করা হয়েছে। আর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোনও ব্যক্তিকে কেউ সাহায্য করলে তাঁকে good samaritan বলে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির থেকে কোনওরকম ব্যক্তিগত তথ্য পুলিস চাইতে পারবে না। সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সহ কোনও কিছুই জানার জন্য পুলিস তাঁর ওপর চাপ দিতে পারবে না। নতুন আইনে এমনই বলা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোনও ব্যক্তিকে সাহায্য করলে কাউকেই এবার থেকে পুলিসের কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না।


নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ কাউকে সাহায্য করলে এবার থেকে সেই ব্যক্তির সঙ্গে সম্মানপূর্বক কথাবার্তা বলতে হবে পুলিসকে। জানা গিয়েছে, খুব শিগগির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বাইরে নতুন এই নিয়ম সম্পর্কে লেখা থাকবে। এছাড়া পরিবহন নিগম হিন্দি, ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষায় একটি নির্দেশিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে তুলবে কিছুদিনের মধ্যেই।