নিজস্ব প্রতিবেদন : বেঙ্গালুরু হিংসার ঘটনায় মূলচক্রী সইদ সাদ্দিক আলিকে গ্রেফতার করল NIA। বেঙ্গালুরুর কেজি হালি থানায় হামলার পিছনে হাত রয়েছে বছর ৪৪-এর এই সইদ সাদ্দিক আলির। ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট হিসাবে কাজ করত এই সইদ সাদ্দিক আলি। তবে অগাস্ট মাসের পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। অবশেষে ধরা পড়ল NIA-এর জালে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর পাশাপাশি এদিন ডিজে হালি ও কেজি হালি থানায় হামলার ঘটনায় বেঙ্গালুরু শহরের আরও ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তল্লাশিতে এয়ারগান, বুলেট, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, ডিজিটাল ডিভাইস ও বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক নথি বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বেঙ্গালুরু হিংসার ঘটনায় তদন্তভার হাতে নেয় NIA।


উল্লেখ্য, একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে ঘিরে হিংসার সূত্রপাত হয় বেঙ্গালুরুতে। অভিযোগ, বেঙ্গালুরুর পুলকেশী নগরের কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস অখণ্ড মূর্তির ভাইপো নবীন সেই পোস্টটি করেন। ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষদের ভাবাবেগে আঘাতকারী সেই সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও উস্কানিমূলক সেই পোস্টটি থেকেই হিংসার সূত্রপাত ঘটে। 


অভিযোগ, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সম্পাদক মুজামিল পাশার নেতৃত্বে উত্তেজিত জনতা নবীন, শ্রীনিবাস মূর্তি, ডিজে হালি থানা ও কেজি হালি থানায় হামলা চালায়। ভাঙচুর করে গোটা এলাকায়। অগ্নিসংযোগ করা হয়। হিংসার সেই ঘটনায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ৪ জন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিসের তরফে ৬৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৫০ জনকে।


আরও পড়ুন, যুবকদের কট্টরপন্থী জেহাদি হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে জাকির নায়েক, রিপোর্ট দিল আইবি