নিজস্ব প্রতিবেদন: বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে নির্ভয়ার অপরাধীদের ফাঁসি। কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদনের শুনানিতে বুধবার দিল্লির হাইকোর্ট জানাল, সমস্ত রকম আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবে দোষীরা। তারপর নিম্ন আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিচার শুরু করবে। ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ অপরাধীর। কিন্তু আগের দিন অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি স্থগিত করে দিল্লির পাতিয়ালা আদালত।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপরাধীদের আলাদা আলাদা করে ফাঁসি দেওয়ার আর্জি করেছিল কেন্দ্র। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি সুরেশ কাইত বলেন,''দিল্লি বন্দি বিধি অনুযায়ী, একই অপরাধে একজনের প্রাণভিক্ষার আর্জি পড়ে থাকলে অন্য অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া যায় না।'' দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টে একটাই রায়ে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে। ফলে সকলের একসঙ্গে ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মনে করে আদালত। 


হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নির্ভয়ার মা আশাদেবী। তাঁর কথায়,''হাইকোর্ট সময় বেঁধে দেওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। মৃত্যুদণ্ড বিলম্ব করতে চাইছে দোষীরা। কিন্তু এখন এক সপ্তাহের সময় রয়েছে তাদের হাতে।''    


২০১২ সালের ডিসেম্বরে ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা, মুকেশ, রাম সিং, অক্ষয় সিং ও এক নাবালক। ১৩ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করার পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। ৩ বছর হোমে থাকার পর মুক্ত হয়ে গিয়েছে ওই নাবালক।  জেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় মূল অপরাধী রাম সিং।       


ঠিক ছিল ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হবে নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ দোষীকে। সে যাত্রায় ফাঁসি পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল দোষীরা। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন স্থির হয়। ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদও তিহাড় জেলে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন। তার আগের দিনই নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে আরেক আসামী বিনয় শর্মা। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন ফাঁসির আদেশ স্থগিত করে পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে। 


আরও পড়ুন- ক'দিন শুনানি পিছবে? ২০০২ দাঙ্গায় মোদীকে ক্লিনচিট মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের