পরিবর্তন দেখতে অমর্ত্যকে দেশে সময় কাটানোর পরামর্শ নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের
২০১৪ সালের পর দেশের অর্থনীতি উল্টো দিকে ঝাঁপ দিয়েছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমানায় দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন চাক্ষুষ করতে অমর্ত্য সেনকে কিছু সময় দেশে কাটানোর পরামর্শ দিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সাক্ষাত্কারে রাজীব কুমার বলেন, ''বাস্তব পরিস্থিতি জানতে অমর্ত্য সেনকে কিছু সময় ভারতে থাকার আবেদন করছি। কোনও মন্তব্য করার আগে অন্তত গত ৪ বছরে মোদী সরকারের জমানায় কাজের পর্যালোচনা করুন উনি''।
কুমার আরও বলেন,''আমি ওনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্বচ্ছতা আনতে এই ৪ বছরে যা কাজ হয়েছে, তার সমতুল কাজ আগে কখনও হয়েছে কি না, তা দেখান।'' প্রান্তিক মানুষের কাছে কাঠামোগত সংস্কারের সুফল যাতে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত, নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত ৭ জুলাই 'An Uncertain Glory: India and its Contradictions' নামে নিজের বইয়ের হিন্দি সংস্করণ 'ভারত অউর উসকে বিরোধভাস'-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেন, ''২০১৪ সালের পর দেশের অর্থনীতি উল্টো দিকে ঝাঁপ দিয়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে ভারত দ্বিতীয় নিকৃষ্ট অর্থনীতি। নিকৃষ্টতম হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান''।
বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, ''স্বাধীনতার লড়াইয়ে কেউ হিন্দু পরিচয় নিয়ে ভাবিত ছিলেন না। কিন্তু এখন সব বদলে গিয়েছে।'' বিরোধীদের মহাজোটের পক্ষে সওয়াল করেন অমর্ত্য। তাঁর যুক্তি, বর্তমান সময়ে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এটা শুধুমাত্র কোনও একজনের বিরুদ্ধে লড়াই নয়। রাহুল বা মোদীর বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশকে বাঁচানোর লড়াই।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে জিডিপির দৌড়ে ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের ২০১৭ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত বর্তমানে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি। গত বছর ফ্রান্সের মোট জিডিপি ছিল ২.৫৮ ট্রিলিয়ন ডলার বা ২,৫৮,০০০ লক্ষ কোটি ডলার। সেখানে ভারতে জিডিপি ছিল ২,৫৯,০০০ লক্ষ কোটি ডলার। তবে ভারতের জনসংখ্যা যেখানে ১৩৪ কোটি সেখানে ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লক্ষ। ফলে ফরাসিদের মাথা পিছু জিডিপি ভারতীয়দের থেকে প্রায় ২০ গুণ বেশি।
আরও পড়ুন- অন্ধ্রপ্রদেশে সরকার গড়তে জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রীর 'টোপ' বিজেপির?