অন্ধ্রপ্রদেশে সরকার গড়তে জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রীর 'টোপ' বিজেপির?

অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি পূরণ না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। 

Updated By: Jul 15, 2018, 02:17 PM IST
অন্ধ্রপ্রদেশে সরকার গড়তে জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রীর 'টোপ' বিজেপির?

নিজস্ব প্রতিবেদন: অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডিকে এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে। তাঁর কথায়, ''আপনি এনডিএ-তে যোগ দিন। আপনাকে সমর্থন করবে রিপাবলিক পার্টি অব ইন্ডিয়া। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর আপনিই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।''

হায়দরবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠকে আটাওয়ালে বলেন, ''বিজেপি, আমার দল রিপাবলিক পার্টি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি একসঙ্গে লড়াই করলে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন জগন্মোহন।'' এর পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের তকমা দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আটাওয়ালে। 

অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি পূরণ না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। ওই রাজ্যে চন্দ্রবাবুর দলের সঙ্গে জোট করে সরকার চালাচ্ছিল বিজেপি। চন্দ্রবাবু জোট ছাড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতার বাইরে গেরুয়া শিবির। আটাওয়ালের কথায়, ''২০১৯ সালে এনডিএ ছাড়ার চড়া দাম দিতে হবে চন্দ্রবাবু নাইডুকে। নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন আপনি।'' 

চন্দ্রবাবু সরে দাঁড়ানোর পর জগন্মোহন রেড্ডিকে পাশে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অমিত শাহরা। কিন্তু এনিয়ে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেননি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র। তবে তেলুগু দেশম পার্টির অভিযোগ, তলে তলে জগন্মোহনের সঙ্গে 'সেটিং' করেছে বিজেপি। সেই সুরেই রাজ্যর মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ''ওয়াইএসআরসিপি ও বিজেপির আঁতাঁতের এটা ট্রেলার। পুরো ছবি এখনও বাকি। মানুষ সব বুঝতে পারছেন। বিজেপির কাছে তেলুগুদের অস্মিতা জলাঞ্জলি দিচ্ছেন জগন্মোহন রেড্ডি। ২০১৯ সালে এই নাটক ফ্লপ হবে।'' 
 
বিজেপির জোটসঙ্গী রিপাবলিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার সুপ্রিমো আটাওয়ালে জগন্মোহনকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দিলেও এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মোদীর দল। তারা এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি। ফলে আটাওয়ালের প্রস্তাবে বিজেপির সায় আছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, অন্ধ্রপ্রদেশের একার দমে সরকার গড়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আবার এটাও ঠিক, ২০১৯ সালের আগে নতুন জোটসঙ্গী পেলে বিজেপির পক্ষে মন্দ নয়। ওদিকে কেন্দ্রের শাসক দলের সহযোগিতায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা জগন্মোহনের কাছে কঠিন। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামিদিনে অন্ধ্রপ্রদেশেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো। 

আরও পড়ুন- জনসমক্ষে কেঁদে ফেললেন কুমারস্বামী, কর্ণাটকে গেরুয়া সরকারের ইঙ্গিত?

.