নিজস্ব প্রতিবেদন: কাগজ ঠোঙা হয়ে গেলে তার খবর আর কে রাখে! ওই ঠোঙার ভাঁজেই লুকিয়ে আছে যুবরাজ, দেবেন্দ্র, মুস্তাকের মতো আরও কত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম। যারা আর দিনের শেষে ঘরে ফেরেনি। খবর বাসি হতেই তলিয়ে গিয়েছে আমজনতার বিস্মৃতিতে। তা বলে সরকারের জাবদা খাতাতেও তাদের ঠাঁই হলো না! প্রশ্ন উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনে পথেই কত জন মারা গিয়েছে, তার হিসেব সরকারের কাছে নেই। হিসেব না রাখার পরিকল্পনাও ছিল না। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নে সোমবারের অধিবেশনে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার  এমনটাই জানালেন। মৃত্যুর হিসেব নেই অতএব ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না, সেটাও জানাল কেন্দ্র।


লকডাউন ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা পরিস্থিতিকে 'অভূতপূর্ব' ঘটনা হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তার জন্য তড়িঘড়ি লকডাউন করতে বাধ্য হয় সরকার। বিরোধীদের কটাক্ষ, অপরিকল্পিতভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জেরে, লক্ষ লক্ষ মানুষের মাথা বাজ ভেঙে পড়েছে। অসহায় শ্রমিকদের রুটি-রুজি এবং গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত্ না করে সরকার 'কাণ্ডজ্ঞানহীনের' পরিচয় দেয় বলে অভিযোগ।


দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ঠাঁই পেয়েছে। ট্রেনে কাটা পড়ে, গাড়ির ধাক্কায়, কয়েক ক্রোশ পথ পেরতে গিয়ে কিংবা অভুক্ত অবস্থায় কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। সাধারণ মানুষের মতো সে হিসেব সরকার রাখেনি। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, এর থেকে লজ্জাজনক বিষয় কী হতে পারে! মোদী সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় পথে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকরা।


আরও পড়ুন- সেনার পাশে দাঁড়িয়ে গোটা দেশ, সংসদ থেকে যেন এই বার্তাই পৌঁছয়, আর্জি প্রধানমন্ত্রীর


তবে, কেন্দ্রের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য সরকার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে নিখরচায় ৬৩ লক্ষের বেশি মানুষকে পৌঁচ্ছে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪৬১১টি ট্রেন চলেছে। রাজ্যওয়াড়ি ঘরে ফেরা শ্রমিকদের হিসাবও দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন, সে বিষয় নিরুত্তর সরকার।