নিজস্ব প্রতিবেদন : একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে পাক বায়ুসেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে তার চালককে। দাবি করছিল পাকিস্তান। সেই দাবি খারিজ করে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইসলামাবাদের তরফে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় বুধবার সকালে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে  নামানো হয়। একটি ভারতের দিকে পড়ে। আরেকটি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভেঙে পড়ে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার চালককে।



পাকিস্তানের এই দাবিকে সাফ খারিজ করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।  ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের কোনও যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানো হয়নি। কোনও ভারতীয় পাইলটকেও গ্রেফতার করা হয়নি। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে সেটি ভুয়ো।


প্রসঙ্গত, এদিন সকালে নিয়ন্ত্রণেরখা পেরিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করে ৩টি  F-16 যুদ্ধবিমান। কাশ্মীরের পুঞ্চ ও নওসেরা সেক্টরে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমানগুলি। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বায়ুসেনার টহলদারি বিমান। ৩টি F-16 বিমানের মধ্যে একটিকে গুলি করে নামায় ভারতের সুখোই-৩০ (Su-30)। নওসেরা সেক্টরের পাক অধিকৃত কাশ্মীরের  লাম উপত্যকায় বিমানটিকে পড়তে দেখা যায়।


আরও পড়ুন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খবরে ‘তাসের ঘরের’ মতো ধসল পাক শেয়ার বাজার


সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ৩ কিলোমিটার ভিতরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লাম উপত্যকায় ভেঙে পড়ে F-16 বিমানটি। বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় একটি প্যারাশ্যুটকে নামতে দেখা যায়। তবে F-16 বিমানের চালক কী অবস্থায় রয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।



এদিকে উত্তেজনা বাড়তেই দেশের সব বিমানবন্দরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩ মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল লে, শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর  বিমানবন্দর। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে দেরাদুন বিমানবন্দরও। নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের মোট ৮টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সব বিমান।