নিজস্ব প্রতিবেদন: একে একে সরছেন। প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মায়াবাতী, শেষে অরবিন্দ কেজরীবাল এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধব ঠাকরে। যার ফলে, সোমবার দিল্লিতে বৈঠক হওয়ার আগে বিরোধী জোটে ‘মুখভার আবহাওয়া’। আজ সকালে মায়াবাতী টুইট করে জানিয়ে দেন, ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে না তাঁর দল। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, সংসদে পার্লামেন্ট লাইব্রেরিতে বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, আরজেডি, বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা-মায়াবতীদের গরহাজির ফের প্রশ্নের মুখে ফেলল বিরোধীদের জোটের বাস্তবতা নিয়ে। আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং জানান, এই বৈঠক নিয়ে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। তাই বৈঠকে অংশগ্রহণ করার যুক্তিও ওঠে না। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, শিয়রে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। অন্যতম প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের থেকে দূরে থাকতেই আপের এটি কৌশল সিদ্ধান্ত। দিল্লির অনেক জায়গায় কংগ্রেস বেশ শক্তিশালী। সে জায়গা আপের সঙ্গে সরাসরি টক্কর হবে বিধানসভা নির্বাচনে। এক দিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ, অন্য দিকে দিল্লিতে হাতে হাত, সাধারণ মানুষ ভাল চোখে দেখবে না বলে আপ অন্দরের একাংশের মত। বিজেপিও প্রশ্ন তুলছে, যে দলটি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ে তৈরি হয়েছে, আজ সেই দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে কেজরীবাল। ফায়দা তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই গরহাজির আপ। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।


আরও পড়ুন- নির্দিষ্ট পোশাক-বিধি না মানলে আর ঢোকা যাবে না কাশী বিশ্বনাথের গর্ভগৃহে


প্রথম থেকে মায়াবতীও চেয়েছেন কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে একমাত্র বাধ সেধেছিলেন বহেনজিই। সম্প্রতি কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে শিশু মৃত্যু নিয়ে সরব হন তিনি। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে কার্যত একহাত নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপর তাঁর দলের ৬ বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় যারপরনাই ক্ষিপ্ত মায়াবতী। আজ টুইট করে সে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তর প্রদেশে দলিত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় ভাল কাজ করছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। বসপার দুর্গে তিনি এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।


মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে শিবসেনা সরকার তৈরি করলেও, এখনও পর্যন্ত সম্পর্ক মধুর নয়। বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে মতবিরোধ লেগেই রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসতে রাজি নন তিনি। ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধে ‘হিংসার’ খবর মেলায় ক্ষুব্ধ হন মমতা। তারপরই দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।