কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর নস্যাৎ করে সাড়ে চার লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা জানাল রেল
কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর অস্বীকার করল রেল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন লক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর অস্বীকার করল রেল। তারা বিবৃতিতে জানাল, জনসাধারণের স্বার্থে কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করা হয়। কোনওরকম উপযুক্ত ভিত্তি ছাড়াই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে লোক নিয়োগের পরিসংখ্যানও দিয়েছে রেল।
এদিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়, কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ১০ লক্ষের কাছাকাছি আনতে চাইছে রেলমন্ত্রক। ছাঁটাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রতিটি শাখার ম্যানেজারের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রেল। তাতে ২০২০ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রেলে যাঁরা ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন, তেমন কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের কর্মীদের।সব কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করতে হবে। তৈরি করতে হবে সার্ভিস রেকর্ড। শারীরিক, মানসিক, অফিসে উপস্থিতির হার ও শৃঙ্খলা মাপকাটি করে কাজের পর্যালোচনা করতে হবে জোনাল ম্যানেজারদের।
এরপরই রেল বিবৃতি দিয়ে জানাল, জনস্বার্থে রেল কর্মীদের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা করা হয়। একটা রুটিন প্রক্রিয়া। গতবছরও করা হয়েছে। ওই প্রক্রিয়ায় কত কর্মী অবসর নেবেন, তা কোনওরকম তথ্য ছাড়াই উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
একইসঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে কত লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, তারও উল্লেখ করেছে রেল। তারা জানিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগে ১,৮৪,২৬২ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে আরও ২,৮৩,৬৩৭ জনের। ইতিমধ্যেই ১,৪১,০৬০ পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মাসেই শুরু হয়ে যাবে নিয়োগপ্রক্রিয়া।
চলতি বাজেটেই রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৫,৮৩৭ কোটি টাকা। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বা মূলধনী ব্যয়ে বরাদ্দ হয়েছে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। গতবছর তা ছিল ১.৪৮ লক্ষ কোটি। এবং বরাদ্দ ছিল ৫৫,০৮৮ কোটি টাকা। এর পাশপাশি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দ্রুত পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন সীতারমন।
আরও পড়ুন- মধ্যযুগীয় প্রথা তিন তালাক ইতিহাসের ডাস্টবিনে, তোষণের নামে বঞ্চনা হয়েছে: মোদী