নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অসমের ১৯ লাখ মানুষ। এদের এখনও বিদেশি বলে চিহ্নিত করা না হলেও এনিয়ে ক্ষোভ খোদ রাজ্য বিজেপির অন্দরেই। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। রাজ্যকে এখন ডিস্টার্বাড এরিয়া বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরকম অবস্থায় আজ রবিবার দু’দিনের সফরে অসম যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ইসরোর চন্দ্রাভিযানে আমরা উজ্জীবিত, মহাকাশ গবেষণায় একসঙ্গে কাজ করতে চাই: নাসা


অসম সফরে অমিত শাহ বৈঠক করবেন নর্থ ইস্ট্রার্ন কাউন্সিলের সঙ্গে। নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন প্রশাসনের সঙ্গে। একইসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বাধীন নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম অসম যাচ্ছেন অমিত শাহ। তার আগে বিজেপির প্রধান হিসেবে একাধিকবার অসমে বিদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে তোপ দেগেছিলেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি বিদেশিদের উইপোকার সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি।



এদিকে, নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়েছেন বিরাট সংখ্যক হিন্দু। ফলে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর তত্ত্ব অনেকটাই ফিকে হিয়ে গিয়েছে। তাতেই প্রবল বিপাকে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।


বিশ্বশর্মা বলেন, এই এনআরসি অসমকে বিদেশিমুক্ত করতে পারবে না। এর জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যে নাগরিকপঞ্জী তৈরি হচ্ছে তাতে আমার কোনও আশা নেই। খসড়া তালিকা তৈরি হওয়ার সময় থেকেই তা বলছি। প্রকৃত নাগরিকরা বাদ পড়ছেন। তাহলে কীভাবে মেনে নেব এটি রাজ্যের মানুষদের ভালোর জন্য তৈরি হয়েছে?’


আরও পড়ুন-পুজোর আগে কমছে ইলিশের দাম? কী বাণী শোনাচ্ছেন বিক্রেতারা?


মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁসা দক্ষিণ সালমারা, ধুবড়ির মতো এলাকায় অনুপ্রবেশকারী লোকজনের বাদপড়ার হার সবচেয়ে কম। তার থেকে যেখানে যেসব জেলার প্রকৃত অসমিয়ারা বাস করেন সেখানে বাদ পড়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কীভাবে এটা হতে পারে?


রাজ্যে বিজেপি নেতারা ক্ষুব্ধ হওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের ধারনা সেই ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবেন শাহ। পাশাপাশি, ১৯ লাখ মানুষের একটি বড় অংশকে তালিকায় ঢোকানো যায় কিনা তা নিয়েও কথা উঠতে পারে দলের বৈঠকে।