নিজস্ব প্রতিবেদন: রসগোল্লা নিয়ে এবার বাংলার গরিমায় ভাগ বসাল ওডিশা। জিআই ট্যাগ পেল সে রাজ্যের রসগোল্লাও। তবে আমল দিতে নারাজ এ রাজ্যের রসগোল্লা প্রস্তুতকারক এবং গবেষকরা। তাঁদের দাবি, রসগোল্লা বাংলারই। রসগোল্লার উত্সভূমিও প্রমাণিত। সে সম্মানে ভাগ বসাতে পারবে না কেউ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলার নবীনচন্দ্র দাশের হাতযশে জন্ম নেয় সাদা তুলতুলে মিষ্টি। রসগোল্লা আবিষ্কারের দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গ ২০১৭-র নভেম্বরে এই অভিনব মিষ্টির উত্সভূমির শিরোপা পেয়ে যায়। তার আগে অবশ্য বাংলাকে কাঁটে কা টক্কর দিয়েছিল ওডিশা। জিআই তকমার জন্য গতবছর ওডিশার হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা।   



কিন্তু হতোদ্যম না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন ওডিশার সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণারত অসিত মোহান্তি। তুলসীদাসী রামায়ণের আগে মধ্যযুগের ওডিয়া কবি বলরাম দাস রচিত ডান্ডি রামায়ণে (১৫ শতক) রসগোল্লার উল্লেখ খুঁজে পান। ওলন্দাজ ও ফরাসিদের আগমনের আগেই যে এদেশে ছানার প্রচলন ছিল, তার প্রমাণ হিসেবে ওডিয়া ও সংস্কৃত সাহিত্য থেকে বিভিন্ন শ্লোকেরও উল্লেখ করেন। ওডিশা সরকার আগেই দাবি করেছিল, ১২ শতক থেকে চলে আসা জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনের সময় থেকেই রসগোল্লা বিতরণের প্রথা চালু রয়েছে। অবশেষে এল সাফল্য। সোমবার Geographical Indication  পেল সে রাজ্যের রসগোল্লা।


ওডিশার উল্লাসে অবশ্য বিন্দুমাত্র আমল দিতে নারাজ এ রাজ্যের রসগোল্লা প্রস্তুতকারক থেকে গবেষকরা। তাঁদের মতে, রসগোল্লার উত্সভূমি বাংলাই। সে সম্মান কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তবে, চেন্নাইয়ে অবস্থিত জিআই রেজিস্ট্রির ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে ওডিশাকে জিআই ট্যাগ দেওয়ার ঘোষণায় বাংলার রস-গরিমায় যে ভাগ বসল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।


আরও পড়ুন- মাদ্রাসায় বহাল তবিয়তে বাস ৪ সন্দেহভাজনের, আশ্রয় দেওয়ায় গ্রেফতার ৩ শিক্ষক