Kerala: কেরলে আক্রান্ত রাহুল গান্ধীর অফিস, বাংলায় তরজা বাম-কংগ্রেসের
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকেই এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই-কে দায়ী করে পোস্ট করতে শুরু করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরে চুপ থাকেনি সিপিএমও।
মৌমিতা চক্রবর্তী: কেরালার ওয়ানাড-এ কংগ্রেস নেতা এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীর অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগের তির বাম ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের দিকে। এই ঘটনার পরেই তুঙ্গে উঠেছে তরজা। সম্পর্কের সুদিনেকে পিছনে ফেলে কেরালায় রাহুল গান্ধীর দলীয় অফিসে হামলার ঘটনার জের এসে পড়েছে বাংলাতেও। ঘটনার পরে বাংলাতেও পারস্পরিক কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়ল সিপিএম ও কংগ্রেস।
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকেই এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই-কে দায়ী করে পোস্ট করতে শুরু করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরে চুপ থাকেনি সিপিএমও। সিপিএম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে, যা কাম্য নয়। ভুলবোঝাবুঝি থাকলে মিটিয়ে নিতে হবে। কিন্তু একদল আছেন, কংগ্রেস এবং অন্য দলে যারা বর্ণচোরা হয়ে থাকেন, তারা ঐক্য চাননা। ঐক্য নষ্ট করতে চান। অশোভন কথা বলে কর্মীদের উত্তেজিত করছেন। এটা তারাই করছেন যারা বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত রেখে চলেছেন।"
বিকাশ বাবুর এই মন্তব্যের পরে চুপ করে থাকেনি কংগ্রেস শিবিরও। কংগ্রেস নেতা আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, "আমার বাড়ি ভেঙে দিলে কী আমি কীর্তন করবো? আমার দলের নেতার অফিস ভেঙে দিয়েছে আর তার প্রতিবাদ করব না? জামাই আদর করবো? জোটসঙ্গী ছিলাম বলে কি দাসখত লিখে দিয়েছি নাকি। বিকাশ বাবু দেখান কোন ম্যানুয়ালে লেখা আছে জোট ধর্মের দাম কংগ্রেসকেই দিতে হবে।"
এর আগেও একাধিক ইস্যুতে তরজায় জড়িয়ে পড়েছেন সিপিএম কংগ্রেস কর্মীরা।
সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি সংরক্ষিত অভয়ারন্যে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষন এলাকার সীমানার এক কিলোমিটারের মধ্যে ইকো সেন্সিটিভ জোন থাকতে হবে। অভিযোগ ওঠে যে ১০০-রও বেশি SFI কর্মী ওয়ানাড জেলার সদর দফতর কালপেট্টায় গান্ধীর অফিসের দিকে মিছিল করে যায়। এসএফআই কর্মীদের দাবি ছিল এর ফলে এলাকার মানুষের সমস্যা এবং উদ্বেগ দূর করার ক্ষেত্রে সাংসদ রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। তাদের দাবি এই নির্দেশ কার্যকর করা হলে ওয়ানাড জেলার একটি বড় অংশ এর আওতায় চলে আসবে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: ১৯ বছর মুখ বুজে 'বিষপান' করেছেন মোদী, গুজরাট দাঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পাশে শাহ
বলা হয়েছে এই মিছিল রাহুল গান্ধীর অফিসের কাছে পৌঁছালে এসএফআই কর্মীরা সেই অফিসে ভাঙচুর চালায়। আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে এলাকায় পুলিস উপস্থিত থাকলেও তাঁরা এসএফআই কর্মীদের প্রতিহত করেনি।
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ঘটনার কিছুক্ষন পরে বিজয়ন জানান, তিনি রাহুল গান্ধীর অফিসে আক্রমনের ঘটনার নিন্দা করছেন। তিনি আরও বলেন দেশে প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরার এবং প্রতিবাদ করার। তিনি আরও বলেন ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।