নিজস্ব প্রতিবেদন:- দীর্ঘ সাত মাস বন্দিদশা কাটিয়ে মঙ্গলবার মুক্তি পেলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই জনগণের কাছে সরকার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আর্জি জানালেন তিনি। পাশাপাশি কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে সওয়াল করেন ফারুক পুত্র। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "আজ আমি অনুভব করলাম, আমরা জীবন মৃত্যুর লড়াই লড়ছি। আমাদের সব নেতা ও কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ২৩২ দিন পরে মনে হচ্ছে যেন সম্পূর্ণ আলাদা পৃথিবীতে চলে এসেছি।  ৮ মাস পরে প্রথম মা-বাবার সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলাম, এর থেকে ভাল খাবার কবে খেয়েছি, আমার মনে পড়ছে না।


গত বছর ৫ অগস্ট থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত বিনা আইনে ওমর আবদুল্লাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইনে চার্জ করা হয়। সম্প্রতি মুক্তি পান ফারুক আবদুল্লা। ওমরের মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন তাঁর বোন সারা পাইলট। সেই আবেদনের তদারকিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।


আরও পড়ুন- করোনার থাবায় মুম্বইয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০


ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে "জঙ্গিবাদ এবং ভোট বয়কট চলাকালীন সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা" -এর অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, যে কোনও সময়ে লোকজনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
 
কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, যেভাবে এর আগে জঙ্গিবাদের কারণে ভোট বয়কটের সময়েও তিনি ভোটারদের ঘরের বাইরে বের করে এনে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে উৎসাহিত করতে পেরেছিলেন। তাতে বোঝা যায় যে তিনি মানুষকে যে কোনও বিষয়ে প্রভাবিত করতে সক্ষম। সারা পাইলট সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন ওমরের গ্রেফতারে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে।