নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ সাত মাস বন্দিদশা কাটিয়ে মঙ্গলবার মুক্তি পাচ্ছেন ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে পারবেন সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের অনুচ্ছে ৩৭০-এর বিশেষাধিকার প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি, রাজ্যের তকমাও তুলে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হয়। অশান্তির আশঙ্কায় সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের আটক বা গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন 'প্রভাবশালী' ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাও।

 

গত বছর ৫ অগস্ট থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত বিনা আইনে ওমর আবদুল্লাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইনে চার্জ করা হয়। সম্প্রতি মুক্তি পান ফারুক আবদুল্লা। ওমরের মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন তাঁর বোন সারা পাইলট। সেই আবেদনের তদারকিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

 


 

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে "জঙ্গিবাদ এবং ভোট বয়কট চলাকালীন সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা" -এর অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, যে কোনও সময়ে লোকজনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।

 

কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, যেভাবে এর আগে জঙ্গিবাদের কারণে ভোট বয়কটের সময়েও তিনি ভোটারদের ঘরের বাইরে বের করে এনে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে উৎসাহিত করতে পেরেছিলেন। তাতে বোঝা যায় যে তিনি মানুষকে যে কোনও বিষয়ে প্রভাবিত করতে সক্ষম। সারা পাইলট সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন ওমরের গ্রেফতারে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে।