দোলের দিন পাকিস্তানের হামলায় কাশ্মীরে শহিদ সেনা জওয়ান
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলা চালাতে শুরু করে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ফের হামলা চালাল পাকিস্তান। লঙ্ঘন করল সংঘর্ষবিরতি চুক্তি। আর সেই হামলায় শহিদ হলেন এক সেনা জওয়ান।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলা চালাতে শুরু করে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সরা। ভারতের সুন্দরবেণী সেক্টরের দিক থেকে সেনার তরফে যোগ্য জবাব দেওয়া শুরু হয়।
তার পরই পাকিস্তানের তরফে হামলার ঝাঁঝ কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের হামলায় এক সেনা জওয়ান শহিদ হলেন। বছর ২৪-এর জওয়ানের নাম যশ পাল।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান।
ওই হামলার পর আসমুদ্রহিমাচল প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকে। সবাই চাইছিলেন পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক। পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ভারত।
আরও পড়ুন: রাজৌরিতে প্রবল গোলাগুলি পাক সেনার; শহিদ ১ জওয়ান, আহত ৩
পুলওয়ামা হামলার দায় নিয়েছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তাই গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা।
ওই হামলার পর পাকিস্তানের তরফে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গোলাবর্ষণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এমনকী আকাশপথেও হামলা চালানোর চেষ্টা হয় পাকিস্তানের তরফে। তিনটি এফ-১৬ ও একাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ভোটের ফায়দা লুটতে পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখছে বিজেপি, বিতর্কিত অভিযোগ মেহবুবা
কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২১ বাইসন নিয়ে পাল্টা প্রত্যাঘাত করেন। ধ্বংস হয় পাকিস্তানের এফ-১৬। তার পর অভিনন্দন পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়ে যায়।
কিন্তু ভারত ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয় পাকিস্তান। কিন্তু সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেন, শান্তির বার্তা দিতে তাঁর সরকার অভিনন্দনকে ছাড়ছে।
আরও পড়ুন: সোপিয়ানে মহিলা পুলিসকে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা
কিন্তু সেই দাবির যে কোনও ভিত্তি নেই, তার প্রমাণ রোজই মিলছে। কার্যত প্রতিদিনই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। বৃহস্পতিবার তারই পুনরাবৃত্তি হল।