নিজস্ব প্রতিবেদন: হরিয়ানার রিয়ারি গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল হরিয়ানা পুলিসের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ঘটনায় তিন মূল অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ওই তরুণের নাম নিশু ফোগট। সে-ই গোটা পরিকল্পনাটা করেছিল বলে দাবি পুলিসের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এসটিএফ প্রধান নাজনিন ভাসিন অন্য দুই অভিযুক্তকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। এখনও অধরা অন্য দুই অভিযুক্ত মণীষ ও পঙ্কজ। এদের মধ্য পঙ্কজ সেনাবাহিনীর কর্মী।


এর আগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদের মধ্যে একজন একটি নলকূপের মালিক। ওই নলকূপ চত্বরেই গণধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীটিকে। অন্যজন একজন চিকতসক। তিনিই ঘটনার পর ছাত্রীটির চিকিতসা করেছিলেন।


উল্লেখ্য,  রিয়ারির ওই ছাত্রী সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন। পুরস্কার নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। ফলে বুধবার এহেন এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে।



ঘটনার পরই অভিযুক্তদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয় পুলিস। ইতিমধ্যেই পুলিস ৩ অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে। মণীষ, নিসু ও পঙ্কজ নামে ওই তিনজনের মধ্যে পঙ্কজ সেনাবাহনীতে কর্মরত।



আরও পড়ুন-ফ্ল্যাটের একাংশ পরিচারিকার নামে, মালিককে চাদর মুড়িয়ে পাচারের আগে ধৃত


অভিযুক্তদের খুব তাড়াতাড়ি নাগাল পাওয়া যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন হরিয়ানার ডিজিপি এস সান্ধু। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্যাতীতার অভিযোগ নিতে পুলিসের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।


অভিযুক্তদের সম্পর্কে খবর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন পুলিস সুপার নাজনিন ভাসিন। শনিবার তিনি বলেন,  নির্যাতীতার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিসের একাধিক দল গঠন করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত,  বুধবার কোচিং সেন্টার থেকে ঘরে ফিরছিলেন এই কৃতী ছাত্রী। রাস্তায় তার পথ আটকায় একটি গাড়ি। গাড়িতে থাকা তিনজন তাঁকে তুলে নেয় ও নিকটবর্তি একটি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার অভিযোগ দুষ্কৃতীরা সবাই তার গ্রামের বাসিন্দা।


আরও পড়ুন-এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাল RSS


নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি,  তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সারে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে ছাত্রীর পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়েছে।


সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ক্ষোভে যন্ত্রণায় কাতর ছাত্রীটির মা বলেন, "আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিস এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি"।